টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরের বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে আয় বাড়াতে পেরেছে।
শুক্রবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে রবির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা। এই আয় গত বছরের একই সময়ের দ্বিগুণেরও বেশি। ওই বছর এই তিন মাসে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮ পয়সা ছিল।
তৃতীয় প্রান্তিকের আয়ের কারণে গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে তিন প্রান্তিকের আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কিছুটা ভালো দেখাচ্ছে। এই তিন মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২৫ পয়সা ছিল।
এর আগে জুন পর্যন্ত দ্বিতয়ি প্রান্তিকের রবির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১৭ পয়সা।
গত বছরের শেষ দিনে পুঁজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানিটির তালিকাভুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও ডিসেম্বরে অর্থবছরের হিসাব প্রকাশ হলে সে আশাবাদ হতাশায় পরিণত হয়।
শেয়ার প্রতি ৩৩ পয়সা আয় করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা ভীষণভাবে হতাশ হয়। শেয়ার মূল্য কমে যাওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বড় মূলধনি কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীরা।
এরপর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৭ পয়সা ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৯ পয়সার কিছুটা কম আয় দেখানোর পর হতাশা আরও গেড়ে বসে।
এপ্রিলে ৩ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও বরির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ফেরেনি।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে লেনদেন শুরু করার পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর রীতিমতো উড়ছিল। প্রতিদিনই যতটা বাড়া সম্ভব, ততটা বেড়ে শেয়ার মূল্য এক পর্যায়ে ৭৭ টাকা ১০ পয়সায় উঠে যায়। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি এই মূল্য ছোঁয়ার পর তা আবার পড়তে থাকে। বর্তমানে এই শেয়ারদর ৯৫ টাকা ৫০ পয়সা।
রবির আয় কিছুটা বাড়লেও তার সম্পদ আবার কমে গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬১ পয়সা, যা গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা।