টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়। সকালে কালিহাতীর একটি বাড়ির সিঁড়িতে স্কুলছাত্রীটির মরদেহের পাশ থেকে ওই কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
হত্যার শিকার কিশোরীর নাম সুমাইয়া আক্তার। তার বাড়ি উপজেলার পালিমা এলাকায়। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত।
আহত কিশোরের নাম মনির। তার বাড়ি উপজেলার ভাবলা গ্রামে। তবে সে মশাজান গ্রামে থেকে কালিহাতীতে পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল কোম্পানির কমান্ডার আব্দুল আল মামুন।
তিনি জানান, আশেপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে মনিরকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
সকালে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ির নিচ থেকে স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর তার পাশ থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। পরে থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে সুমাইয়াকে মৃত অবস্থায় পায়। মনিরের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।
ওসি আরও জানান, কী কারণে এ ঘটনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজিব পাল বলেন, ‘মনিরের পেটে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাকে কোপানো হয়েছে। তার গলায় ও ঘাড়েও ক্ষত আছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।’