পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভিন্স টেক্সটাইল আয়ের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরের হিসাব পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।।
প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত এক বছরে শেয়ার প্রতি আয় করেছে এক পয়সা। এর বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে ২ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট শেয়ার প্রতি ১ পয়সা এবং প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোড ৮ পয়সা আয় করেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটি গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্তও শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা লোকসানে ছিল। অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ারে ১৫ পয়সা আয় করে মুনাফা করতে পেরেছে।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে কম আয় হয়েছে ইভিন্স টেক্সটাইলের। এর আগে সর্বনিম্ন আয় ছিল ২০২০ সালে ২০ পয়সা, যা ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর হয় ১৯ পয়সা।
এর আগে ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭ পয়সা, ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬ পয়সা, ২০১৭ সালে ১ টাকা ২৮ পয়সা এবং ২০১৬ সালে ২ টাকা ২৫ পয়সা আয় করে কোম্পানিটি।
এর মধ্যে ২০১৮ সালে কোম্পানিটি মুনাফায় থেকেও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এর আগে তালিকাভুক্তির বছরে শেয়ার প্রতি ১ টাকার পাশাপাশি ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৯ সালে আবার ১০ শতাংশ বোনাস ও শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা এবং ২০২০ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় কোম্পানিটি।
গত এপ্রিলের শেষেও কোম্পনিটির শেয়ারদর ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা। তবে সম্প্রতি সহযোগী একটি কোম্পানিকে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে দাম। সেপ্টেম্বরের শেষে শেয়ারদর বেড়ে ১৫ টাকা ১০ পয়সা হয়ে যায়। তবে এরপর কমে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ১৮ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর।