বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেতিবাচক প্রচারকারীদের আনতে চুক্তি চায় সরকার

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:১৬

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে বসে বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে কিছু বাংলাদেশি। তাদের ফেরত আনার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স চুক্তি করতে চায় সরকার।’

যুক্তরাজ্য বসে সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো কিছু বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বুধবার ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে বসে বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে কিছু বাংলাদেশি। তাদের ফেরত আনার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স চুক্তি করতে চায় সরকার।

‘কিন্তু ওই দেশ থেকে কোনো ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের ওপর নির্ভর করছে।’

ডিকসন বলেন, ‘কার কার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলব না। কারণ তা ঠিক হবে না।

‘প্রত্যাবর্তন একটি আইনি প্রক্রিয়া। অনেক ব্যক্তির প্রত্যাবর্তন হয়তো দেশের জনগণ চায়, কিন্তু সেটা ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভর করে না; করে আদালতের ওপর। সরকারের ওপর নির্ভর করে কোর্ট রায় দেয় না।’

এ ছাড়া প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বেশ শক্ত লড়াই করে বলেও তিনি জানান।

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, ‘আদালত অনেক কিছু বিবেচনা করে। যেমন: অভিযোগ কী আছে বা ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানো হলে তার কী শাস্তি হতে পারে ইত্যাদি। কাউকে ফেরত পাঠানোর কিছু মেকানিজম আছে। যেমন মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স।

‘নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়ে যুক্তরাজ্যে পরিষ্কার নিয়ম আছে। কেউ যদি ঘৃণা বা উসকানিমূলক মন্তব্য করে, তবে ব্যবস্থা নেয়া হয়। যখন কেউ রেড লাইন অতিক্রম করে এবং তা আমাদের জানানো হয়, তখন আমরা বিষয়টি তদন্ত করি।’

বাজার সুবিধা আরও আট বছর

যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

দেশটির হাইকমিশনার বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে এবং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। দেশটির উন্নতি মসৃণ করার জন্য বের হয়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি জানান, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি কি হবে সেটি স্বাধীনভাবে বিবেচনা করার সুযোগ পেয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ সংলাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, এইচএসবিসি, ইউনিলিভারসহ যুক্তরাজ্যে অনেক বড় কোম্পানি ব্যবসা করছে। বাজার সুবিধা পেলে আরও অনেকে ব্যবসা করতে পারে।

রবার্ট ডিকসন বলেন, ‘আগামী দশকে আমরা বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সমুদ্র নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সম্পৃক্ত হব। বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে আমি বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর