রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় সহিংসতার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে চার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭০ জন।
পীরগঞ্জের চতরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে নজরুল ইসলামকে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেশ চন্দ্র নিউজবাংলাকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি অনেক লোক নিয়ে আসেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে গত ১৭ অক্টোবর রাতে পীরগঞ্জের রামনাথপুর উত্তর পাড়া হিন্দুপল্লিতে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় হিন্দুদের বাড়িঘর; দেয়া হয় আগুন। লুটপাটও করা হয় এসব বাড়িতে।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং একটি অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে।
এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ‘প্রধান অভিযুক্ত’ করা হয়েছে সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মণ্ডলকে। তার সহযোগী বটেরহাট মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
সৈকত মণ্ডলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ্ত শাহীন জানান, র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সৈকতকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামকে আদালতে তোলা হলে তিনিও স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতকে জানিয়েছেন।