বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাসেতের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি’

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৪৫

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেতের মৃত্যুতে শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারপ্রার্থীদের আইনি সহায়তা প্রদানে আব্দুল বাসেত মজুমদারের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

প্রবীণ আইনজীবী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বাসেতের মৃত্যু হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে ঢাকার সব বিচারিক আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একই সিদ্ধান্ত হয়েছে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগেও।

বাসেতের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারপ্রার্থীদের আইনি সহায়তা প্রদানে আব্দুল বাসেত মজুমদারের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মৃত্যুতে দেশ একজন দক্ষ আইনজীবীকে হারাল।’

প্রধানমন্ত্রী তার শোকবার্তায় সাধারণ মানুষকে আইনি সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি আইনজীবীদের পরম বন্ধুখ্যাত আব্দুল বাসেত মজুমদারের আইন অঙ্গনে অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

সেই সঙ্গে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান সরকারপ্রধান।

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ১ অক্টোবর বাসেত মজুমদারকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

দীর্ঘ আইন পেশায় ‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন বাসেত মজুমদার। অসহায় মানুষের পক্ষে বিনা ফিতেও আইনি লড়াইয়ে অংশ নিতেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসামের শানিচোঁ গ্রামে।

তার বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার ও মা জোলেখা বিবি। ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ১৯৬৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরই মধ্যে তিনি তার আইন পেশায় ৫৪ বছর অতিক্রম করেছেন।

বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে তার অসামান্য অবদান রয়েছে।

‘গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয়ে তিনি আদালতকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। দরিদ্র মানুষের আইনজীবী হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণে রাখবে।’

বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এ বিভাগের আরো খবর