বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমরা বিজয়ী জাতি, মাথা উঁচু করে চলব: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১২:১৭

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বীরত্বের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে আমাদের বিজয় অর্জন করেছিল, সে কথাটা চিরদিন মনে রাখতে হবে যে আমরা বিজয়ী জাতি। মাথা উঁচু করে আমরা চলব।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের অনুপ্রেরণায় বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি। মাথা উঁচু করে আমরা চলব।’

চট্টগ্রামের হালিশহরের আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে প্রবর্তিত নতুন পতাকা এবং সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে বুধবার জাতীয় পতাকা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

করোনা মহামারির কারণে অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় সরকারপ্রধানের পক্ষে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় পতাকা বা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেয়া হয়েছে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের ৪, ১২ ও ২০ ফিল্ড, ৫ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫ ও ৭ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১ ও ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপ এবং এনসিও অ্যাকাডেমিকে। আর মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারিকে দেয়া হয় প্রবর্তিত নতুন পতাকা।

ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড পাওয়া ১০টি ইউনিট, মুজিব রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আপনাদের।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বীরত্বের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে আমাদের বিজয় অর্জন করেছিল, সে কথাটা চিরদিন মনে রাখতে হবে যে আমরা বিজয়ী জাতি। মাথা উঁচু করে আমরা চলব।’

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে, বিশ্ব দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে আমরা চলব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

তার সরকারের আমলে সামরিক বাহিনীর উন্নয়নে নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গত ১৩ বছরে এখন যথেষ্ট শক্তিশালী ও অগ্রসর হয়েছে। আর বিশেষ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।’

আকাশ প্রতিরক্ষায় নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এয়ার ডিফেন্স শাখার জন্য ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল (এফএম-৯০ স্যাম সিস্টেম)-এর প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে একটি কম্ব্যাট সিমুলেটর ২০১৯ সালে সংযুক্ত করেছি। একই বছর এক ব্যাটারি অত্যাধুনিক ওয়েরলিকন রাডার কন্ট্রোল গান সিস্টেম ও স্কাই গার্ড-৩ রাডার সংযুক্ত করেছি এবং আরও এক ব্যাটারি ওয়েরলিকন গান সিস্টেম ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ভি শোরাড মিসাইল সিস্টেম ক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদন করেছি এবং আরও দুই ব্যাটারি রাডার কন্ট্রোল গান এ বছরেই এয়ার ডিফেন্স শাখায় সংযুক্ত করার আশা রয়েছে।’

আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ সেনাবাহিনীর আভিযানিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সহায়তায় বিশেষ অবদান রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই এভিয়েশন বহরে ছয়টি এমআই ১৭১ শাহ, একটি কাসা-সি২৯৫ডব্লিউ, চারটি ডায়মন্ড-ডিএ৪০এনজি এবং দুটি বেল-৪০৭ জিএক্সআই বিমান সংযুক্ত করেছি। ভবিষ্যতে এই গ্রুপের কার্যক্ষমতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ সংযোজনের পরিকল্পনা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর