বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের ‘অজ্ঞান পার্টি’ ঢাকা মেডিক্যালে

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৪৭

স্বজনরা জানান, হাসপাতালের ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন নাসির। এক নারী প্রতারক তাকে কৌশলে অচেতন করে সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর এলাকা থেকে সকালে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে নাসির ঢাকায় আসেন। এরপর তার স্ত্রী দুলেনা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুপুরেই তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন এক রোগীর স্বামী। মঙ্গলবার নাসির মিয়া নামে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিকে অচেতন করে টাকা নিয়ে পালিয়েছে অজ্ঞান পার্টির নারী সদস্য।

স্বজনরা জানান, হাসপাতালের ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন নাসির। এক নারী প্রতারক তাকে কৌশলে অচেতন করে সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর এলাকা থেকে সকালে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে নাসির ঢাকায় আসেন। এরপর তার স্ত্রী দুলেনা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুপুরেই তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন।

শাশুড়ি দিলারা বেগম বলেন, ‘মেয়ে দুলেনাকে হাসপাতালে ভর্তির পর অপারেশন হয়েছে। এক নারী বোন পাতিয়ে নাসিরের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিল দেখলাম। পরে দেখি নাসির অচেতন, সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা নিয়ে গেছে ওই নারী।’

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ আব্দুল খান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। জরুরি বিভাগে নিয়ে নাসির আলীর পাকস্থলী পরিষ্কার করা হচ্ছে। প্রতারক নারীর ব্যাপারেও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’

হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে স্ত্রীকে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির মিয়া। ছবি: নিউজবাংলা

হাসপাতালসংশ্লিষ্টরা বলেন, এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা আগেও ঘটেছে। হাসপাতালের ভেতরে দেয়ালে লেখা আছে বিশেষ সতর্কতা। অপরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলা বা কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামের সহজ সরল মানুষ অনেকেই হাসপাতালে ঢুকে প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন। রোগীর স্বজন পরিচয়ে প্রতারকরা এখানে ঘুরে বেড়ায়। তাদের শনাক্ত করা কঠিন।

এর আগে গত মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে জিনিপত্র খোয়ান এক রোগী ও তার দুই স্বজন। রাত দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখে ওয়ার্ডের কর্মীরা তাদের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানে পাকস্থলী পরিষ্কার করার পর আবার গাইনি ওয়ার্ডে নেয়া হয়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই ওয়ার্ডে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়লেন আরেক রোগীর স্বামী।

ওয়ার্ডমাস্টার আবু সাঈদ বলেন, ‘এখানে রোগীর সঙ্গে তিন থেকে চারজন ভিজিটর আসে। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সুযোগ নিয়ে জুস, কেক বা অন্য কিছু খাইয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমরা রোগীদের সব সময় বলি, অন্যের দেয়া কিছু খাবেন না। তারা এসব শোনেন না।’

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে ঢাকা মেডিক্যালে। বেশির ভাগ রোগী ঢাকার বাইরে থেকে আসে। অপরিচিত লোকদের ভালো মনে করে মেশে। তারা এর সুযোগ নেয়। এসব ঘটনার জন্য রোগীর স্বজনদের সচেতন হতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর