বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৪ টাকা করে শেয়ার বিক্রি করা প্রকৌশল খাতের কোম্পানি মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড তালিকাভুক্তির বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা করে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২১ পয়সা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে শেয়ার সংখ্যা কম থাকার সময় এই আয় ছিল ৩ টাকা ৪৩ পয়সা।
কোম্পানির আয়ের মতো সম্পদমূল্যেও উল্লম্ফন হয়েছে। গত বছর জুনে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৩৫ টাকা ২১ পয়সা। এক বছর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৮৬ পয়সা।
এই লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
গত ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ১২৫ কোটি টাকা তুলে। প্রতিটি শেয়ারের দাম নির্ধারিত হয় ৬০ টাকা। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ ছাড়ে ৫৪ টাকা করে পেয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিনেছে ৬০ টাকা করে।
কোম্পানিটির শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীরা বেশ লোকসানে পড়েছেন। তালিকাভুক্তির দ্বিতীয় দিনেই শেয়ারের দর ১১৭ টাকা উঠে যায়। কিন্তু এরপর দাম অনেক কমে যায়। এক পর্যায়ে দাম নেমে আসে ৫৬ টাকায়।
তবে পরে শেয়ার দর বাড়ে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন মীর আক্তারের শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ২০ পয়সা।