বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ আয়, প্রিমিয়ার সিমেন্টের লভ্যাংশ দ্বিগুণ

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ২১:১৯

২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা, পরের বছর ৪ টাকা ১৮ পয়সা, ২০১৯ সালে ৫ টাকা ৮ পয়সা আয় করতে পেরেছিল কোম্পানিটি। গত বছর আয় ছিল ২ টাকা ৫৫ পয়সা। এবার তা আড়াই গুণ হয়ে গেছে।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট ২০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

মঙ্গলবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৫৫ পয়সা।

আগের বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ করে নগদ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে লভ্যাংশ বিতরণ করেছিল।

এই লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।

২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি ৬ টাকা ৪৮ পয়সা আয় করার পর কোম্পানিটি কখনও এত আয় করতে পারেনি।

২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা, পরের বছর ৪ টাকা ১৮ পয়সা, ২০১৯ সালে ৫ টাকা ৮ পয়সা আয় করতে পেরেছিল কোম্পানিটি।

গত বছর সিমেন্ট খাতের প্রায় সব কোম্পানির আয় কমে যায়, কোনো কোনো কোম্পানি যায় লোকসানে। এর মধ্যেও প্রিমিয়ারের মুনাফায় থাকাটাই ছিল স্বস্তির।

২০২০ সালের জুলাই থেকে করোনার মধ্যেও সিমেন্টের বাজারে ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। এর প্রভাবে কোম্পানিগুলোর আয় বাড়ে, লোকসান থেকে বের হয়ে মুনাফায় ফেরে।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৮১ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ টাকা ১০, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে ১ টাকা ৫৬ পয়সা আয় করে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে আয় ছিল ৪ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা।

আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ৪৯ টাকা ৭৪ পয়সার, যা এক বছর পর দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৮৩ পয়সা।

তবে কোম্পানিটির আয় ও সম্পদমূল্য ব্যাপকভাবে বাড়লেও শেয়ার মূল্য খুব একটা বাড়েনি।

গত এক বছরে পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৬০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা ৪০ পয়সায় উঠেছিল। তবে পরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে কমে লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর