করোনায় বিধিনিষেধের প্রভাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি নাভানা সিএনজির আয় আরও কমে গেছে। অবশ্য তারা লভ্যাংশ ঠিক রেখেছে।
২০২০ সালের মতোই গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্যও ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে অর্ধেক নগদ এবং অর্ধেক বোনাস।
অর্থাৎ এবার বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি পাবেন ৫০ পয়সা করে। সঙ্গে প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি দেয়া হবে বোনাস হিসেবে।
মঙ্গলবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করে ২২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯০ পয়সা। সে বছর বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ দেয়া হয়।
কোম্পানিটির গত বছরের জুলাই থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২১ পয়সা। পরে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত লকডাউনসহ বিধিনিষেধের সময় তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মাত্র এক পয়সা আয় করতে পারে কোম্পানিটি।
আয়ের মতো কোম্পানির সম্পদমূল্যও কমে গেছে। ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৩৫ টাকা ৬৩ পয়সা। সেটি এবার হয়েছে ৩৫ টাকা ২৮ পয়সা।
এই লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
কোম্পানিটির শেয়ারদর মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে সব সময়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দর ছিল ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা।
আয় ক্রমেই কমছে
এবার মিলিয়ে টানা ছয় বছর কোম্পানিটির আয় কমল।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করে ৪ টাকা ১৮ পয়সা। পরের বছর আয় কমে দাঁড়ায় ৩ টাকা ৩ পয়সা।
২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি আয় আরও কমে দাঁড়ায় ২ টাকা ৬২ পয়সা, যা ২০১৯ সালে হয় ১ টাকা ২৯ পয়সা।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি দেড় টাকা করে, ২০১৮ সালে ১ টাকা ২০ পয়সা এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালে ১ টাকা করে লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৯ সালে।