যশোরের অভয়নগরে চামড়ার কারখানার এক নারী শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে উপজেলার তালতলা এলাকায় যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে চামড়া কারখানার ওই নারীকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত ও পরে মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সন্ধ্যায় খুলনার আদ্-দ্বীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
নিহত নারীর নাম কেয়া খাতুন। তিনি অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। আর আসামি শামীম হোসেনের বাড়ি উপজেলার রাজঘাট মাইলপোস্ট এলাকায়।
ঘটনার পরপরই শামীমকে আটক করে পুলিশে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। রাতে অভয়নগর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান মজুমদার।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, সোমবার দুপুরে বিরতির সময় কারখানার ক্যানটিনে বসে ছিলেন কেয়া। এ সময় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন শামীম। প্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীম একটি রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করেন।
পরে কারখানার ভেতর থেকে এক মগ অ্যাসিড এনে তার শরীর ও মুখে ঢেলে দেন শামীম। কেয়ার চিৎকারে ক্যানটিনের শ্রমিকরা শামীমকে আটক করে কারখানা কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। আর আহত কেয়াকে খুলনার আদ্-দ্বীন হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে শামীমকে অভয়নগর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কেয়ার মামা হাবিবুর বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেয়া মারা যায়। ১০ বছর আগে তার বিয়েবিচ্ছেদ হয়। ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে কেয়া বাবার বাড়িতেই থাকত। একই কারখানার সমকর্মী শামীম দীর্ঘদিন ধরে কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় শামীম তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’
ওসি এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘প্রেমের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে শামীম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আজ (মঙ্গলবার) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।’