বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দাবি

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:৩৪

পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনকে পাগল সাজিয়ে আসল দুর্বৃত্তদের আড়াল করার অপচেষ্টা হচ্ছে।’

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লার মোড়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সমাবেশে এ দাবি জানান পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত।

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়েছে। যারাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত হোক না কেন, সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনকে পাগল সাজিয়ে আসল দুর্বৃত্তদের আড়াল করার অপচেষ্টা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৬৯ সালে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিল। সেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু এখনকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতারা, প্রগতিশীল সুশীল সমাজ রাস্তায় নেই। পাকিস্তানি প্রেতাত্মা, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সহিংসতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এসব প্রতিরোধে রাজনৈতিক দল ও নেতাদের রাস্তায় নামতে হবে।’

সহিংসতা প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলরা এগিয়ে আসেননি বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি।

তিনি বলেন, ‘এবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ আইজিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, নিরাপত্তায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। এরপরও মন্দির-পূজামন্ডপে হামলা হল, অগ্নিসংযোগ হল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হল।

‘আমরা দেখেছি, নোয়াখালীতে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, প্রশাসন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা কোথায় ছিলেন? আমরা সরকারের আশ্বাস-প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মহানগর পূজা পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদারসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর