পুঁজিবাজারে ভ্রমণ ও অবসর খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি পেনিসসুলা চিটাগং গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি ১ টাকা পাবেন।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মাস চারেক আগে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত পেনিনসুলার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪১ টাকা।
করোনার মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি হোটেলের আয় কমে গেলেও পেনিনসুলা ব্যতিক্রম। ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ৫ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি করোনার বছরে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ৪৬ পয়সা আয় করে। এরপর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেষ প্রান্তিকে আয় কিছুটা কমেছে। এই সমেয় শেয়ার প্রতি ৫ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়। প্রথম তিন বছর ১০ শতাংশ করে, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এর মধ্যে ২০১৫ সালে সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দেয়া হয়।
তবে ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা, ২০১৯ সালে ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ বিতরণ করে কোম্পানিটি। গত বছর আয় ব্যাপকভাবে কমে গেলেও রিজার্ভ থেকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
২০১৬ সাল থেকে কখনও শেয়ার প্রতি এক টাকা আয় করতে পারেনি কোম্পানিটি। তবে তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ বেশ ভালো। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারে সম্পদ ছিল ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা।
এই লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৩ ডিসেম্বর।
কোম্পানিটির শেয়ারদর গত এক বছরে ১৭ টাাক ২০ পয়সা থেকে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা কমেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম ছিল ২৭ টাকা ২০ পয়সা।
এর আগে একই খাতের কোম্পানি সি পার্ল গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই বছরে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি আয় করেছে ৬১ পয়সা। শাটডাউনের প্রভাবে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৪৯ পয়সা লোকসান দিয়েছে।