চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।
ভোলার আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেছে। আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।’শুক্রবার রাতে যশোরের বেনাপোল থেকে ভারতে পালানোর সময় ভোলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দীনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ভোলা।পুলিশ জানায়, জবানবন্দিতে ভোলা সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারের নির্দেশে সোর্স কামরুল শিকদার ওরফে মুছার নেতৃত্বে তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয় বলে জানান। কামরুল শিকদার প্রথমে রাজি না হলে তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে বাবুল আকতার হত্যা করান বলে জবানবন্দিতে বলেন ভোলা।
আইনজীবী কে এম সাইফুল জানান, এর আগে ভোলা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। অসুস্থ থাকার কারণে জামিনের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়। আদালত তার আবেদন নাকচ করেছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।
ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
শুরুতে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়।
বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই বাবুলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষ হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।