মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান, সাহাদতসহ কয়েকজনের নাম ব্যবহার করে বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে দোকানি, ব্যবসায়ী, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করে একটি চক্র। চাঁদার টাকা না পেলে ডাকাতি করে তারা।
চক্রের সদস্যরা কেউ পিয়ন, কেউ পরিচ্ছন্নতা কর্মী, কেউ অটোরিকশার চালক। এ পেশার আড়ালে তারা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে আসছিল।
এর মধ্যে ১২ অক্টোবর রাজধানীর শ্যামলীতে ইডেন অটোস মোটরসাইকেল শো-রুমে ডাকাতি হয়। সে ঘটনার হোতা জহিরুল ইসলাম জহিরসহ ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জ ও ধামরাই থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার বক্তিরা হলেন- জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির, জসিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম শিকদার, খায়রুল ভূঁইয়া, রাকিব হাসান ও মো. নয়ন।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘১২ অক্টোবর শ্যামলীতে একটি মোটরসাইকেলের শো-রুমে ঢুকে ম্যানেজার ওয়াদুদ সজীব এবং টেকনিশিয়ান নুরনবী হাসানকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় ডাকাত দলের কিছু সদস্য শো-রুমের দোতলায় উঠে গ্লাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ক্যাশ ড্রয়ার ভেঙে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও একটি কম্পিউটার মনিটর নিয়ে যায়। সে ঘটনায় মামলা হয়।’
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা সংবাদে সদর দপ্তর গোয়ন্দা শাখা ও র্যাব-২ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এবং ধামরাই এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ওই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি চাপাতি, শো-রুম থেকে লুট করা ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যাক্তিরা তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানায় র্যাবের কর্মকর্তা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাবের কর্মকর্তা জানান, চক্রটি মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীক। তাদের সদস্য সংখ্যা ৮ থেকে ১০ জন। মোহাম্মদপুর, বসিলা, শ্যামলীসহ আশপাশের এলাকার পুলিশের তালিকায় থাকা সন্ত্রাসীদের নাম করে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া তারা এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোরিকশার ব্যাবসা, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে জানায় র্যাব।