বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাপের মুখে জমা দিয়ে প্রকল্পের টাকা ফের উত্তোলন

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ০২:০৯

গোপনে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ চেষ্টা ফাঁস হওয়ার পর চেয়ারম্যান স্বাধীনের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন ইউপি সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীরাও।

প্রকল্প ছাড়াই গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভূমি হস্তান্তর কর বরাদ্দের সাড়ে ১৮ লাখ টাকা তুলে ফেলেছিলেন দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। পরে এই নিয়ে শোকজ করে স্থানীয় সরকার। নানাবিধ চাপে পরে সেই টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। এ খবর প্রকাশিত হয় নিউজবাংলায়ও।

কিন্তু জমা দেয়ার পরদিনই ব্যাংক থেকে আবারও ওই টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশে টাকা জমা ও তুলে নেয়ার ঘটনায় এবার ইউপি সচিব নুরজামান মিয়াকে শোকজ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এর আগে একই অভিযোগে চেয়ারম্যান এ জেড এম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি এর জবাবে ভুল স্বীকার করেছিলেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি হস্তান্তর কর (১ শতাংশ) বরাদ্দের ব্যাংক হিসাব নম্বরে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জমা করেন চেয়ারম্যান।

প্রকল্প ছাড়াই টাকা তোলার ঘটনাটি ধরা পড়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে নথিপত্র যাচাইয়ে। ২৯ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশে চেয়ারম্যানকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা বেগম। ৭ অক্টোবর লিখিত জবাব দেন ইউপি চেয়ারম্যান স্বাধীন। এর আগের দিন তুলে নেওয়া সাড়ে ১৮ লাখ টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়।

এবার জমা করা টাকা আবারও তুলে নেয়ার ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ গাইবান্ধার উপপরিচালক (উপসচিব) মোছা. রোখছানা বেগম ইউনিয়নের সচিব নুরজামান মিয়াকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৩ অক্টোবর ওই সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জমার পরদিনই দুটি চেকে আবারও পুরো টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এদিকে গোপনে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ চেষ্টা ফাঁস হওয়ার পর চেয়ারম্যান স্বাধীনের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন ইউপি সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীরা। ইউপি সদস্য এস এম ওয়াহেদ মুরাদ, নুরুন্নবী আকন্দ, খোরশেদ আলম, রশিদুল ইসলাম ও নারী সদস্য মিনারা বেগম অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই স্বাধীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। সদস্যদের উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প এবং সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করেও লাখ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।

ট্রেড লাইসেন্স, হাট-বাজার ও ট্যাক্স আদায়ের টাকাও ব্যাংকে জমা না করার অভিযোগ আছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত ৫ বছরে তিনি বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর