চাঁদপুর থেকে চিকিৎসা করাতে এসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে টাকা-মোবাইল হারিয়েছেন রাব্বি হোসেন নামের এক তরুণ।
শনিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া দয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে অচেতন অবস্থায় রাব্বিকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাকস্থলি পরিষ্কারের পর পাঠানো হয় স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতালে।
রাব্বির ভাই তুহিন হোসেন জানান, রাব্বি চাঁদপুর থেকে লঞ্চে বেলা ১১টার দিকে সদরঘাটে নামেন। সেখান থেকে বাসে করে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। তার গলার চিকিৎসা করানোর কথা ছিল।
প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবার একটি বাসে উঠে সদরঘাটে যাওয়ার সময় অচেতন অবস্থায় দয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যায়। সেখানে বাস থেকে তাকে নামিয়ে দিলে স্থানীয়রা তার পকেটে থাকা একটি নোটপ্যাডে লেখা তুহিনের নম্বরে কল দেন।
তুহিন বলেন, ‘কল দেয়ার পর আমি ও আমার আরও কয়েকজন স্বজন মিলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে যাই। সেখানে স্টমাক পরিষ্কার করে মিডফোর্ডে পাঠিয়েছে।’
‘আমার ভাইয়ের কাছে চিকিৎসার জন্য ছয় হাজার টাকা এবং স্মার্টফোন ছিল। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সবগুলোই নিয়ে গেছে’, বলেন তুহিন।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শনিবার রাত পর্যন্ত আমরা অজ্ঞান পার্টির হাতে অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে আসা তিন রোগী পেয়েছি। সম্প্রতি অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে গেছে।’