বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোড়া যমজ শিশু নিয়ে উৎকণ্ঠায় মা-বাবা

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ২০:২৮

বাবা সেলিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হইছে। আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এই টাকা পরিশোধ করছি। এখন এ অবস্থা হলে আমার বাচ্চা দুইটার চিকিৎসা করব কীভাবে? শেষ পর্যন্ত আমার বাচ্চা দুইটার কপালে কী আছে জানি না।’

ঢাকার সাভারে জন্ম নেয়া জোড়া লাগানো যমজ শিশু নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন তাদের মা-বাবা।

চার দিন আগে জন্ম নেয়া শিশু দুটির চিকিৎসায় এরই মধ্যে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ব্যয়। এত টাকা খরচের সামর্থ্য না থাকায় শিশু দুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না শ্রমিক বাবা মো. সেলিমের।

স্বজনরা জানান, ১৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে সাভারের সুপার মেডিক্যাল হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে যমজ কন্যাশিশু দুটির জন্ম হয়। দুই দিন আগে রাজধানীর শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে শিশু দুটি ও তাদের মা সাথী আক্তারকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশু দুটি সুস্থ থাকলেও তাদের মা কিছুটা অসুস্থ।

তারা আরও জানান, এই দম্পতির ১৫ ও ৮ বছরের দুটি মেয়ে রয়েছে। বাবা সেলিম রাজধানীর একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করেন। তারা থাকেন সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়।

শিশু দুটির চাচা দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাই অনেক দিন প্রবাসে ছিলেন। ৪-৫ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু তেমন কোনো পুঁজি না থাকায় ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে অল্প বেতনে চাকরি নেন।’

বাবা সেলিম নিউজবাংলাকে জানান, ১৮ তারিখ সাভারের হাসপাতালে শিশু দুটি জন্মের পর রাত ১২টার দিকে ঢাকার শ্যামলীতে শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই জানিয়ে রাত ১টার দিকে তাদের পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

আইসিইউ না থাকায় তাদের সেখান থেকেও ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে ভোর ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তারা ফের সাভারের সুপার হাসপাতালে যান। পরদিন আবার শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে নিয়ে মা-শিশুকে ভর্তি করেন।

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হইছে। সুপার হাসপাতালে ৫০-৬০ হাজার টাকা বিল দিছি। আর শিশু হাসপাতালে এই কয় দিনে আরও ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হইছে।

‘আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এই টাকা পরিশোধ করছি। এখন এই অবস্থা হলে আমার বাচ্চা দুইটার চিকিৎসা করব কীভাবে? শেষ পর্যন্ত আমার বাচ্চা দুইটার কপালে কী আছে জানি না।’

এ বিভাগের আরো খবর