দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চক্রান্তকারীদের বিষ দাঁত তুলে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
শুক্রবার বিকেল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হামলার শিকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের খোঁজ-খবর নেন এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
মেজর রফিক বলেন, ‘হাজীগঞ্জে ১৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ নিয়ে কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে এখানে অনেক কথা বলা যাচ্ছেনা। আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অসম্প্রদায়িক রাজনৈতিতে বিশ্বাস করে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিষদাঁত তুলে ফেলা হবে। কোন অবস্থাতে ছাড় দেয়া হবে না।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রফিকুল ইসলাম বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার রামপুর এলাকার চৌধুরী বাড়ি পূজামণ্ডপ, হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর আখড়া, পৌর শশ্মানঘাট মন্দির, বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ মন্দির পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন, শাহরাস্তি উপজেলা চেয়ারম্যান নাছরিন জাহান শেফালী, শাহরাস্তি পৌর মেয়র আব্দুল লতিফ, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবীব অরুন, সৈয়দ আহমেদ খসরুসহ অনেকে।
হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপ ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ দুটি, আটটি মামলা করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষ। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত সাত জনসহ আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় পাঁচ হাজার জনকে।
এসব মামলায় শুক্রবার পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।