বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কঠিন চীবর দানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কামনা

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৩২

ধর্মীয় গুরু নন্দপাল মহাস্থবির ভান্তে বলেন, ‘যারা দুঃখী ব্যক্তি তারা যেন মুক্তিলাভ করেন। যারা সুখী আছেন তারা যেন আরও সুখী হন। ইহলোকে যেমন সুখী হয়, পরলোকেও যেন জন্ম-জন্মান্তরে তারা সুখী হতে পারে। পুরো বিশ্বে যেন সম্প্রীতি বজায় থাকে।’

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উদযাপন চলছে ঢাকার সাভারে। আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় বন বিহার বৌদ্ধমন্দিরে শুক্রবার ভোর থেকে গৌতম বুদ্ধের উপাসনায় মগ্ন হয়েছেন পুণ্যার্থীরা।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলে দলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরে জড়ো হতে থাকেন। উৎসবমুখর পরিবেশে নানা ধর্মীয় আচার পালন করেন তারা।

সেখানে ধর্মীয় গুরু পরম পূজ্য নন্দপাল মহাস্থবির ভান্তে ত্রিপিঠক পাঠ করেন। পুণ্যার্থিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই দানের মাধ্যমে প্রার্থনা করা হয় নিজের পরে যেন মানবজাতি সুখে থাকে। এরপর যে সমস্ত প্রাণী বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আছে তারাও যেন সুখী থাকে।

‘সেই প্রাণীদের জন্যও আমরা এই পুণ্য বিতরণ করি। যারা দুঃখী ব্যক্তি তারা যেন মুক্তিলাভ করেন। যারা সুখী আছেন তারা যেন আরও সুখী হন। ইহলোকে যেমন সুখী হয়, পরলোকেও যেন জন্ম-জন্মান্তরে তারা সুখী হতে পারে। পুরো বিশ্বে যেন সম্প্রীতি বজায় থাকে।’

হিলি চাকমা নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের জন্য সবাই অনেক দিনের একটা প্রতীক্ষায় থাকি। এই অনুষ্ঠানটা আমাদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আমরা বলি দানোত্তম কঠিন চীবর দান। শাস্ত্রে বলা হয় যে, আজকে আমরা যে দান করব, এই দানের ফলটা শতবর্ষে আমরা অন্যান্য কোনো দান করলে যে ফলটা হবে, সেটা এটার ষোল ভাগের এক ভাগও হবে না... অনেক দূর থেকে সবাই এখানে এসেছেন।’

সাভার বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অজয় প্রকাশ চাকমা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান আমাদের সর্বজনীন একটা গুরুত্ব লাভ করুক। দেশবাসীর কাছে আমাদের এই শান্তির বাণী পৌঁছে যাক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধহীন দেশে পরিণত হোক বাংলাদেশ এই কামনা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর