পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংকও আগের বছরের চেয়ে চলতি বছর বেশি আয় করতে পারছে।
গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করতে পেরেছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল (ইপিএস) ২ টাকা ৩০পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৭ পয়সা বা ১৬ শতাংশ।
এর আগে এনসিসি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনেও আয় বাড়ার বিষয়টি উঠে আসে। এই ব্যাংকটি চলতি বছর তিন প্রান্তিক মিলিয়ে আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি আয় করেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো নিয়ে নানা রকম আলোচনা থাকলেও বেশির ভাগ কোম্পানির আয় এবং লভ্যাংশ প্রতিবছরই চমকপ্রদ।
গত করোনার বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করা ব্যাংকগুলো এবারও জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত আয়ে চমক দেখায়। দ্বিগুণ, তিন গুণ এমনকি তার চেয়ে বেশি আয় করা ব্যাংকগুলো এখন তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব প্রকাশ করছে।
ইসলামী ব্যাংক জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৫৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩৬ পয়সা।
আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও বাড়ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদ হয়েছে ৪০ টাকা ৫৯ পয়সা। গত ৩০ ডিসেম্বরে এই সম্পদ ছিল ৩৮ টাকা ৮৯ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারদর বর্তমানে তার সম্পদের চেয়ে কম। আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকায়।
বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত ও ঋণদানকারী এই ব্যাংকটির শেয়ারমূল্য গত এক বছর ধরেই স্থিতিশীল। এই সময়ে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ২৫ টাকা ৪০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৩২ টাকা।
কোম্পানিটি প্রতিবছরই বেশ ভালো আয় করলেও লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটি ভালো নয়। ২০১৬ সাল থেকে টানা ৫ বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।