বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালালে বসবে নতুন রাডার, বাড়বে নজরদারি-রাজস্ব

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৪৫

পুরনো রাডারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় দেশের আকাশসীমায় কোনো আকাশযান চলাচল করলে তা থেকে রাজস্বও আদায় করতে পারছে না সরকার। এসব এলাকায় রাডার কাভারেজ দিয়ে আয় করছে ভারত ও মিয়ানমার।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩০ বছরের পুরনো রাডার সরিয়ে বসানো হবে নতুন রাডার। এই রাডার স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালাস এলএএস-এর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চুক্তিটি অনুষ্ঠিত হয়।

বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান ও থ্যালাসের ভাইস চেয়ারম্যান নিকোলাস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ ম্যাঁরি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে যে রাডার রয়েছে, এটি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে অনেক আগে। প্রায় ৩০ বছর আগে স্থাপন করা এই রাডার দিয়ে আকাশপথে নজরদারি চালাতে হিমশিম খেতে হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে। তার ওপর সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগরে নতুন নিয়ন্ত্রণে আসা বিস্তীর্ণ এলাকা এর আওতার বাইরে থেকে যায়। ফলে ওইসব এলাকা দিয়ে কোনো আকাশযান উড়ে গেলে তা জানতে পারছে না বাংলাদেশ। এতে আকাশপথের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মুখে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় দেশের আকাশসীমায় কোনো আকাশযান চলাচল করলে তা থেকে রাজস্বও আদায় করতে পারছে না সরকার। এসব এলাকায় রাডার কাভারেজ দিয়ে আয় করছে ভারত ও মিয়ানমার।

বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান ও থ্যালাসের ভাইস চেয়ারম্যান নিকোলাস চুক্তিতে সই করেন

এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, পুরনো রাডার দিয়ে সব ক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না বেবিচক। নতুন রাডার বসানোর প্রকল্পটি গত বছরের ৮ জুন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পায়। বেবিচক আশা করছে, ২০২৪ সাল নাগাদ এই রাডার বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘নতুন এ অত্যাধুনিক রাডার স্থাপনের ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসবে। এর ফলে বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াত করা সকল বিদেশি উড়োজাহাজ শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং এদের থেকে ফ্লাইং ওভার চার্জ আদায় করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এভিয়েশন খাতের উন্নয়নের একটি বড় পদক্ষেপের সাক্ষী হয়ে থাকছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাডার, এটিসি টাওয়ার স্থাপন ছাড়াও কমিনিউকেশন, নেভিগেশন, নজরদারি ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।’

এর আগেও একবার রাডার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল বেবিচক। ২০১২ সালে সরকারি-বেসরকারি মালিকানার ভিত্তিতে রাডার প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। অনুমোদনের পর ২০১৫ সালে দরপত্রও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় বাতিল হয়ে যায় সেই উদ্যোগ।

এ বিভাগের আরো খবর