বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চান হানিফ

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৩৮

মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ঘটনার বিচার করুন। যদি সাধারণ আইনে না হয়, তাহলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অপকর্মকারীদের বিচার করুন। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে আবারও যেন ফিরিয়ে আনতে পারি।’

কুমিল্লা, নোয়াখালী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

তিনি বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ঘটনার বিচার করুন। যদি সাধারণ আইনে না হয়, তাহলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অপকর্মকারীদের বিচার করুন। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে আবারও যেন ফিরিয়ে আনতে পারি। আমরা সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে যে শঙ্কা ও ভীতি রয়েছে, সেটি দূর করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এক প্রতিরোধ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রদায়িক হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে ‘গৌরব ৭১’ নামের একটি সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘রামু, নাসিরনগর, শাল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলোর বিচার এখনও সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণে মৌলবাদী শক্তিরা সাহস পাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, অতি দ্রুত এই ঘটনাগুলোর বিচার শেষ করুন।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সমাজ থেকে লোকসংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। এখন গ্রামে নাটক, পালাগান, যাত্রা নেই। জারি-সারি, ভাটিয়ালি, পুঁথিগান কোনোটাই আর হয় না। এগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এগুলোর বদলে জায়গা করে নিয়েছে ওয়াজের নামে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে মানুষকে ধর্মান্ধ করা।’

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বীজ বপন করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ আমাদের মাঝ থেকে ধীর ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিরোধ সমাবেশ থেকে আমাদের মৌলবাদী গোষ্ঠীকে চিরতরে নিপাত করার শপথ নিতে হবে। শেখ হাসিনার একজন কর্মীও থাকতে এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেয়া হবে না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আমরা গড়বই।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সামাদ বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক এ হামলাগুলোর লক্ষ্য কোনো হিন্দু জনগোষ্ঠী নয়। আক্রমণের লক্ষ্য বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা। আমাদের মূল কাজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করা। এ জন্য আমাদের আদর্শ ও নিষ্ঠাবান কর্মী তৈরি করতে হবে।’

ড. সামাদ বলেন, ‘আমাদের ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অনুরোধ, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধানকে ফিরিয়ে আনুন। বাহাত্তরের সংবিধানে যদি আমরা ফিরে যেতে পারি, তাহলে এই ধর্মান্ধদের আমরা উৎখাত করতে পারব। ফলে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে আমরা কায়েম করতে পারব।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি, নাটোর-৪ আসনের সাংসদ অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ সানজিদা খানম, চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ নুরুল আমিন রুহুল, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসসহ অনেকে।

সমাবেশ শেষে শহীদ মিনার থেকে লাঠি হাতে মৌলবাদ প্রতিরোধ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শেখ রাসেল টাওয়ার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর