করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে এ মাসের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই টিকার ৬০ লাখ ডোজ সরকারের হাতে রয়েছে। এখান থেকে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকা দেয়ার কাজ সম্পন্ন হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের তালিকা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তালিকা পেলে চলতি মাসেই তাদের টিকা দেয়া শুরু হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের স্কুলশিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় কোটির মতো। তাদের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমাদের হাতে ফাইজারের টিকাও আছে। নতুন করে ৭২ ও ৯০ লাখ টিকার দুটি চালান শিগগিরই আসবে।’
জাহিদ মালেক জানান, দেশের মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে ইতোমধ্যেই ২১ কোটি ডোজ টিকা কেনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসে প্রায় তিন কোটি টিকা দিতে পারব। টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, আমরা টিকা কর্মসূচিতে ভালো করছি। আমরা বলেছিলাম আমাদের টিকা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। তারাও সম্মতি দিয়েছে।’