লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানির তোড়ে রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কের একটি অংশ ধসে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে রংপুর থেকে লালমিনরহাটের কালীগঞ্জ পর্যন্ত সড়ক পথে যোগাযোগ।
কালীগঞ্জ উপজেলায় রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কের মহিপুর সিরাজুল মার্কেটের মিলন বাজার এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৫০০ মিটারের বেশি ধসে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রানা মিয়া জানান, দুপুর ২টার পর একটু একটু করে পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে সড়ক ভেঙে যায়।
আনসার আলী নামে একজন বলেন, ‘সড়ক ভেঙে গেলে আমার বাড়ি নদীতে চলে যাবে। এটা কিন্তু নদী না। এখন এত বেশি পানি উঠছে যে এটা তিস্তার একটা শাখা হয়ে যাবে।’
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী নিউজবাংলাকে জানান, সড়ক ভেঙে হংগাচগা, কাউনিয়া ও পীরগাছায় অন্তত ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দিদের জন্য দ্রুত ত্রাণ প্রয়োজন।
সড়কে ভাঙন দেখা দেয়ার পর থেকেই স্থানীয়রা চেষ্টা করছেন আটকাতে।
রমিজ উদ্দিন জানান, গাছ কেটে দিয়ে সড়কের ভাঙন কিছুটা আটকানো গেছে। তবে রাতে আরও ভেঙে যেতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিকেল থেকে পানি বাড়তে বাড়তে সড়ক ভেঙে গেল কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ আসেনি। নিজেরাই গাছ ফেলে পানির তোড় আটকানোর চেষ্টা করেছেন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দিদের জন্য লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ও ৭০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ভাঙন রোধে কাজ করছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।’