বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাজীগঞ্জে সহিংসতায় কিশোর গ্রুপ, সংগঠিত মেসেঞ্জারে 

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:১৪

স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৩ অক্টোবর বহিরাগত কিছু কিশোর মিছিল সংগঠিত করে। পরে তাতে যোগ দেয় স্থানীয়দের একটি অংশও। এর আগে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছড়ানো হয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। 

কুমিল্লায় একটি পূজা মণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার জের ধরে গত ১৩ অক্টোবর ব্যাপক সহিংসতা হয় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায়।

সেদিন সন্ধ্যায় হাজারখানেক মানুষের মিছিল থেকে হামলা হয় একটি স্থানীয় মন্দিরে। সেই হামলা প্রতিহত করতে গেলে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে ওইদিনই মারা যান চার জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান আরও একজন।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পৌর এলাকার আরও পাঁচটি মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেদিন বহিরাগত কিছু কিশোর মিছিল সংগঠিত করে। পরে তাতে যোগ দেয় স্থানীয়দের একটি অংশও। ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছড়ানো হয় উত্তেজনা।

সহিংসতার জন্য হাজীগঞ্জ আওয়ামী লীগে বিভাজনকেও দায়ী করছেন স্থানীয়রা। মন্দিরে হামলার সিসিটিভি ফুটেজে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বীর উপস্থিতি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তবে রাব্বীর দাবি, হামলা ঠেকাতে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। মন্দিরের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসনকেও দায়ী করছেন মন্দির সংশ্লিষ্টরা।

হামলা-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ১৯ জন, তাদের অনেকেই জামায়াত-বিএনপির সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যেভাবে ছড়ায় সহিংসতা

হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় উত্তেজনা ও সহিংসতার কারণ জানতে নিবিড় অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা। এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও মন্দির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বিভিন্ন তথ্য।

স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লায় মণ্ডপে ১৩ অক্টোবর সকালে কোরআন পাওয়ার ঘটনাটি ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জেও। সন্ধ্যায় এশার নামাজের ঠিক পরপরই পৌর এলাকার হাজীগঞ্জ বাজারের মূল সড়কে ২০ থেকে ২৫ জন কিশোরের একটি মিছিল শুরু হয়। মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলটি একবার বাজারের মূল সড়ক ঘুরে দ্বিতীয়বার প্রদক্ষিণের সময় হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের মুসল্লিরাও তাতে যোগ দেন। তখন মিছিলে হাজারখানেক লোকের জমায়েত হয়।

মিছিলটি থেকে সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হচ্ছিল। বাজার এলাকাতেই শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর আখরা মন্দিরের অবস্থান।

ভিডিওতে দেখা যায়, দ্বিতীয়বার প্রদক্ষিণের সময় মিছিল থেকে হঠাৎ মন্দিরটিতে হামলা চালায় ২০-২৫ জন কিশোর। তারা মন্দিরের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ভাংচুর করা হয় পূজা উপলক্ষে তৈরি করা মন্দিরের অস্থায়ী গেট। এ সময় মিছিলে যোগ দেয়া মুসল্লিরা হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর মুসল্লিরা এলাকা ত্যাগ করেন।

সহিংসতার কিছু সময় পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। সেখানে হতাহতের ঘটনার পর স্থানীয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, জমিদারবাড়ি মন্দির, রামপুর চৌধুরী বাড়ি মন্দির, দশভূজা পূজামণ্ডপ ও মুকুন্দেশ্বর সূত্রধরবাড়ি পূজামণ্ডপে ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা।

বাজার এলাকার একাধিক দোকানি নিউজবাংলাকে জানান, তারা হঠাৎ দেখেন ২০-২৫ জন কিশোর একসঙ্গে জড়ো হয়ে মিছিলটি শুরু করে। নামাজের পর সেই মিছিলে বড় মসজিদের মুসল্লিরা যোগ দেন। মিছিল শুরু করা ছেলেগুলোই পরে মন্দিরে হামলা শুরু করে। মিছিলে থাকা মুসল্লিরা বাধা দিলে তারাও ইটপাটকেলের মুখে পড়েন।

কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, হামলা শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে প্রচুর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। কিছুক্ষণ পর গুলি চালায় পুলিশ। হামলাকারীরা এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও পরে আরও পাঁচটি মন্দির আক্রান্ত হয়। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ মিছিলটি বাজারে ঢোকার আগেই থামিয়ে দিলে এমন ঘটনা ঘটত না।

মেসেঞ্জার গ্রুপে সংগঠিত কিশোর গ্রুপ

হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় গত ১৩ অক্টোবর মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া কিশোর ও হামলার নেতৃত্ব দেয়া কিশোরদের পরিচয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেননি স্থানীয়রা। তবে তাদের দাবি, ওই দলটি পৌর এলাকার পাশের কয়েকটি ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে এসেছিল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় রায়চোঁ, রান্ধুনীমুড়া গ্রাম থেকে সংগঠিত হয়ে মিছিল ও হামলা করার উদ্দেশ্যে পৌরসভায় আসে কিশোর গ্রুপটি। রায়চোঁ গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা নিউজবাংলাকে জানান, সেদিন মাগরিবের নামাজের সময় গ্রামের মসজিদে কিছু কিশোর একত্রিত হয়। নামাজের পর তারা একসঙ্গে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যায়। সেসময় তারা নিজেদের মধ্যে হিন্দুদের ‘সমুচিত জবাব’ দেয়ার কথা আলোচনা করছিল।

জানা গেছে, রায়চোঁ গ্রাম থেকে যাওয়া দলটি রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠলে তাদের সঙ্গে পাশের রান্ধুনীমুড়ার গ্রামের কিছু কিশোরও যোগ দেয়। ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তারা সংগঠিত হয়।

সহিংসতার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় রান্ধুনীমুড়া এলাকার ১৪ বছরের কিশোর ইয়াসিন হোসেন হৃদয়। স্থানীয় একটি পলিটেকনিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। হৃদয়ের বাবা ফজলুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হৃদয় বলছিল মিছিল হবে, সে ফেসবুকে দেখেছে। সঙ্গে এলাকার আরও ছেলেও যাবে। এরপর হৃদয় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে আমি হাজীগঞ্জ বাজারের দিকে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি গণ্ডগোল। পরে হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ পাই।’

রায়চোঁ গ্রামের চাঁদপুর সরকারি পলিটেকনিকের এসএসসি পরীক্ষার্থী আল আমিনও গুলিতে মারা গেছে। তার বাবা রুহুল আমিন জানান, অ্যাসাইমেন্টের কাগজ আনতে বাজারে গিয়েছিল আল আমিন। মাগরিবের পর সে বাসা থেকে বের হয়। সংঘর্ষের কিছুক্ষণ আগেও বোনের সঙ্গে তার মোবাইলে কথা হয়েছে। এরপর খবর আসে পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে।

আল আমিনের পরিবারের দাবি, রাস্তা পার হতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। তবে সংঘর্ষের সময়কার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দের পর হামলাকারীদের মাঝখানে লুটিয়ে পড়ে এই কিশোর।

নিহত আরেকজনও ১৬ বছরের মো. শামীম। তার বাড়িও একই এলাকায়। শামীম হাজীগঞ্জ বাজারে কলা বিক্রি করত। তার বাবা মো. আব্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন দুই বড় ভাইয়ের সঙ্গে শামীম বাজারে কলা বিক্রি করছিল। সংঘর্ষের পর দুই ভাই ফিরে এলেও শামীম ফেরেনি। পরদিন কুমিল্লা সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।’

নিহত আরেক জন ২৮ বছরের নির্মাণ শ্রমিক বাবলু। বাজারের একটি নির্মাণাধীন আটতলা ভবনের উপরে কাজ করার সময়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বাবলুর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এছাড়া পিকআপ চালক সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।

হাজীগঞ্জের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক হামলা

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন হালদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাজীগঞ্জের ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা এই প্রথম। আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।’

হামলার পিছনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। পুরো ঘটনার অনেক সিসিটিভি ফুটেজ আছে, সেগুলো দেখলেই আপনারা বুঝে যাবেন। আমরা শুধু এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর আখড়া মন্দিরের পরিচালনা কমিটি ও হাজীগঞ্জ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্য ব্রত ভদ্র মিঠুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে আমরা জন্মের পর থেকে দেখে আসছি রাজনৈতিক বিভেদ থাকলেও আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় আমাদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন। তারা আমাদের পূজায় আসেন, আমরা তাদের অনুষ্ঠানে যেতাম। তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলেও হাজীগঞ্জে এমন কিছু হবে না।’

হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভক্তির কারণে সহিংসতার সময়ে দলটির নেতাকর্মীরা দৃঢ় ভূমিকা নিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্দির সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হামলার সময় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোনো নেতার সাড়া পাওয়া যায়নি।

হাজীগঞ্জ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্য ব্রত ভদ্র মিঠুন বলেন, ‘হাজীগঞ্জের রাজনীতি বলতে গেলে এখন অভিভাবকহীন। সুবিধাভোগী একটি তৃতীয় পক্ষ এর সুযোগ নিয়েছে। ওই তৃতীয় পক্ষে আওয়ামী লীগ- বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক রয়েছে। তারা কুমিল্লার ঘটনাকে পুঁজি করে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে।’

মন্দিরে হামলার সময়কার একটি সিসিটিভি ফুটেজে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তানভীর আহমেদ শাওন নামে রাব্বীর একজন সমর্থক আহত হন বলেও দাবি করেছেন তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতারা।

এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান রাব্বী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ সবই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার। সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সব মন্দিরে হামলাকারীদের প্রতিহত করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ এ সময় মাঠে ছিল না।’

তানভীর আহমেদ শাওনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাব্বী বলেন, ‘ও শুধুই আমাদের একজন সমর্থক। কমিটিতে ওর কোনো পদ নেই। সেদিন আমার মতো শাওনও পুলিশের পাশাপাশি হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে ইটের আঘাতে সামান্য আহত হয়। সে এখন ভালো আছে, বাসায় আছে।’

রাব্বি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘শাওন যদি হামলায় অংশ নিত তাহলে পুলিশের মামলায় তার নাম থাকত। বরং পুলিশের মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়দুর রহমান খোকনের ভাইদের নাম রয়েছে।’

হামলাকারী ঠেকাতে গুলি চালানোর প্রয়োজন কেন পড়ল, জানতে চাইলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তখন গুলি না চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত, হিন্দু সম্প্রদায় ও হাজীগঞ্জ বাজারের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতেই গুলি চালাতে পুলিশ বাধ্য হয়েছে।’

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ১৯ জনের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এদের মধ্যে সাত জন ছয়টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। বাকিদের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গ্রেপ্তারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপির কয়েকজন সমর্থক পাওয়া গেছে।’

এ বিষয়ে জানতে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির বিএনপির সমন্বয়ক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিনুল হককে টেলিফোন করা হলে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না বলে সংযোগ কেটে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর