বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এই ইকবাল ‘বিএনপির সেই ইকবাল নন’, জোনায়েদও ‘অন্যজন’

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৩৭

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কারাগারে থাকা বিএনপির যে তিনজনকে মণ্ডপে হামলার আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজনকে জেনেশুনে আসামি করার কথা জানিয়েছেন ওসি। বাকি দুজনের নামে মিল থাকলেও তারা অন্য মানুষ বলে দাবি করেছেন তিনি।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মন্দিরে হামলা মামলায় ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা বিএনপির তিনজনকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের দাবি, নামে মিল থাকলেও দুজন অন্য মানুষ। আর একজনকে জেনেশুনে ‘ইন্ধনদাতা’ হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদুর রহমান মামলাটি করেন।

তিন আসামি হলেন সৈয়দ ইকবাল, আকরাম উদ্দিন ওরফে পাভেল ও জোনায়েদ মেহেদী।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতির নামও সৈয়দ ইকবাল; জোনায়েদ মেহেদী নামে বিএনপির এক কর্মী আছেন। অন্যদিকে আকরাম হোসেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য।

এই তিনজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসা নিয়ে হেফাজতের সহিংসতা মামলার আসামি। প্রায় ছয় মাস আগে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

চলতি বছরের মার্চে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলতেও যাদের আসামি করা হয়, তাতে তিনটি নামই রয়েছে।

তাদের মধ্যে ১৬ এপ্রিল সৈয়দ ইকবালকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর চার দিন পর জোনায়েদকে এবং সর্বশেষ ১০ মে আকরাম উদ্দিন পাভেলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের দাবি, সৈয়দ ইকবাল ও জোনায়েদ নামে যে দুজনকে আসামি করা হয়েছে, তারা বিএনপির নেতা-কর্মী নন।

ওসি বলেন, ‘সৈয়দ ইকবাল নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে ঠিক, তবে তার বয়স ৩২ এবং পিতা অজ্ঞাত। কিন্তু ৬ মাস আগে আমরা যে সৈয়দ ইকবালকে কোর্টে পাঠিয়েছি তার বয়স ৫২ বছর এবং পিতা-মাতার নামও থানায় রেকর্ড করা আছে।

‘জোনায়েদ নামে যার কথা বলা হচ্ছে তার বয়সও ২১ বছর। কিন্তু আমরা যাকে ৬ মাস আগে কোর্টে পাঠিয়েছি, তার বয়স ৩২ বছর। তার বাবার নাম কামাল উদ্দিন হলেও নতুন আসামির বাবার নাম শুধু কামাল।’

তবে আকরাম উদ্দিন পাভেলকে জেনেশুনে আসামি করার কথা নিশ্চিত করেছেন ওসি। কারণ হিসেবে বলেন, ‘ঘটনার সময় হামলাকারীরা নাজিরহাট সড়কে অবস্থান নিয়েছিল। তখন তাদের মধ্যে এক পক্ষ বলেছিল, পাভেল ভাইকে মুক্তি দিলেই আমরা এখান থেকে যাব। এতে আমরা ধরে নিয়েছি তিনি জেলে থাকলেও তার ইন্ধন থাকতে পারে। ইন্ধন আছে কী নেই, সেটা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে বের করবেন।’

তবে পুলিশের এই বক্তব্যকে অপযুক্তি হিসেবে দেখেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ইলিয়াস আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ যে বয়সের ভিন্নতা আর পিতার নামের ভিন্নতা বলছে, এটা একটা কৌশল মাত্র।

‘ওরা তো আমাকেও আসামি করছে। আমার বয়স ৪৩ বছর, অথচ এজাহারে আছে ২৭ বছর। মামলাগুলো যে সব ভুয়া, এটা তারই প্রমাণ। হাটহাজারীতে আদৌ কোনো মন্দির আছ কি না, আমি সেটাও জানি না। অথচ মন্দিরে হামলা মামলার আসামি আমি।’

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষক দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কিছুসংখ্যক আসামি তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। ওই লিস্টে আকরাম উদ্দিন পাভেলের নাম আছে কি না আমরা দেখব। আর সাধারণ বন্দিরা সপ্তাহে এক দিন ১০ মিনিট করে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পায়। এটা কাজে লাগিয়ে কিছু হয়েছে কি না, আমরা অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।’

হাটহাজারী থানার কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার কুমিল্লায় ‘পবিত্র কোরআন অবমাননার’ অভিযোগে হাটহাজারীর সরকারহাটে সোমপাড়া সর্বজনীন পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রবেশপথ ও তোরণ ভাঙচুর করা হয়।

পরদিন থানার উপপরিদর্শক আবিদুর রহমান বাদী হয়ে ৬১ জনকে তালিকাভুক্ত আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওই মামলায় আকরাম উদ্দিন পাভেলকে ৫৫ নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় জোনায়েদ মেহেদী ১৫ নম্বর এবং সৈয়দ ইকবাল ৫৩ নম্বর আসামি।

এ বিভাগের আরো খবর