শারদীয়া দুর্গাপূজায় দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ও পূজার পর বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য বিএনপি ও তার মিত্রদের দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকার নিজ বাসভবনে বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্মকে যারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করে, তারাই পরিকল্পিতভাবে বিভাজন তৈরি করতে চায়।’
বিএনপি নেতারা ‘মিথ্যাচারকে শিল্পে রূপ দিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলায় নাকি সরকার জড়িত! আসলে ভিডিও ফুটেজে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে দেখে, তারা একচোখা দৈত্যের আচরণ শুরু করেছে।
বিএনপিকে ‘রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িক’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘তারা সংখ্যালঘুদের শত্রু মনে করে। তারা ভেবেছে, পূজামণ্ডপে হামলা করলে সরকারের ওপর হিন্দু সম্প্রদায়ের অনাস্থা বাড়বে। আর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরাজমান বন্ধুত্ব নষ্ট হবে।
‘যারা নিজেরা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, মেনে নিতে পারেনা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, তারাই জাতিকে বিভাজন করে দুর্বল করতে চায় এবং দেশের ইমেজ নষ্ট করতে চায়। আর এ বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তার দোসররা।’
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির চরিত্র হচ্ছে, মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট। তাদের কথায় পুষ্পবৃষ্টি হলেও অন্তর কদর্যে ভরা।
‘মসজিদগুলো মন্দির হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বনি হবে, এসব অপপ্রচার বিএনপি অতীতেও চালিয়েছে’ বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘এসব অপকর্ম ও নির্জলা মিথ্যার পেটেন্ট একমাত্র বিএনপির।’
২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপির নির্মমতা একাত্তরকেও হার মানিয়েছিল বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এখনও তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। দিনটি মুসলিম উম্মার জন্য পবিত্র এবং মহিমান্বিত জানিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার মহানবীর যে অমর বাণী সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালনের জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
সেই সঙ্গে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।