জোরপূর্বক ভূমি দখলসহ ডিজিটাল ডিভাইসে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শনমূলক তথ্য উপাত্ত ছড়ানোর অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মঙ্গলবার ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের রূপকার পরিচয়ধারী আলহাজ্ব আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি মামলার আবেদনটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
বাদীপক্ষে আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এসব বিষয় নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
মামলার আবেদন থেকে জানা যায়, গত ২ জুন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ড্রেন ও খালের জমি অবৈধ দখল উচ্ছেদের নামে ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের ৪৭ দশমিক ৯০ একর জমি হতে ২ একর জমি ও তার ওপর নির্মিত স্থাপনাদি ভেঙে দখল করে নেয় ডিএনসিসি।
আবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে ড্রেজার, এস্কেভেটর/ভেকু, ড্রাম ট্রাকসহ স্থাপনা ভাঙার নানা সরঞ্জামাদি নিয়ে ভাঙচুর করে ভূমি দখল করে নেয়া হয়। এতে বাদীর ৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এ সময় প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী লোকজন এগিয়ে আসলে মেয়র আতিকের নির্দেশে তার সহযোগীরা তাদের মারধর করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, স্থাপনা ভাঙার পর মেয়র আতিক বাদীর নামে ডিজিটাল ডিভাইসে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শনমূলক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া, মেয়র আতিক বাদী ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে মোটা অঙ্কের ঘুষ ও চাঁদা দাবি করছেন। মেয়র পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। তাই আতিকুল ইসলামের মেয়র পদে থাকার অধিকার নাই।
বাদী আব্দুর রহিম বলেন, ‘এ বিষয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর মেয়র আতিককে লিগ্যাল নোটিশ দিলেও কোনো উত্তর দেয়নি। মেয়র আতিক এবং তার সহযোগীরা একে অপরের সহযোগিতায় বাদী ও তার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল, মেয়রের হুকুম ও অপর আসামিদের সহযোগিতায় বিভিন্ন মিডিয়ায়, ডিজিটাল ডিভাইসে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ও পরিবার সম্পর্কে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছেন।
মামলার আবেদনে মেয়র আতিকের গ্রেপ্তারি চেয়েছিলেন আব্দুর রহিম।