টানা দুই বছর লোকসান দেয়ার পর বহুজাতিক সিমেন্ট কোম্পানি হাইডেলবার্গ চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বেশ ভালো মুনাফা করলেও তৃতীয় প্রান্তিকে আবার লোকসানে পড়েছে।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯১ পয়সা লোকসান দিয়েছে। তবে এই লোকসান দেয়ার পরও তিন প্রান্তিক শেষে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুনাফাতেই আছে কোম্পানিটি।
এর আগের দুই প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১১ টাকা ৭৯ পয়সা মুনাফায় ছিল কোম্পানি। ফলে গত তিন মাসে লোকসান দেয়ার পরও তাদের শেয়ার প্রতি আয় আছে ৯ টাকা ৮৮ পয়সা।
আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ২ পয়সা।
বরাবর ভালো আয়ের জন্য প্রসিদ্ধ হাইডেলবার্গ সিমেন্ট গত দুটি বছর কঠিন সময় পার করছে। ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৩০ পয়সা লোকসান দেয়ার পর ওই বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।
পরের বছর লোকসান কিছুটা কমিয়ে আনার পর রিজার্ভ থেকে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২ টাকা লভ্যাংশ দেয় তারা। ওই বছর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা।
তবে চলতি বছর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় কোম্পানিটি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৮ টাকা ২৩ পয়সা মুনাফার তথ্য দেয়ার পর শেয়ার মূল্যও বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মুনাফা কিছুটা কমে হয় ৩ টাকা ৫৬ পয়সা।
করোনার বিধিনিষেধ সীমিত হয়ে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বাড়া, নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলোর পর তৃতীয় প্রান্তিকে আয় আরও বাড়বে বলে আশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। এই ভরসাতেই শেয়ারদর টানা বাড়ছিল।
লোকসানে পড়ার পর গত বছর শেয়ার মূল্য ১৩৭ টাকায় নেমে গেলেও সম্প্রতি তা ৩৭৯ টাকা পর্যন্ত উঠে। তবে গত কয়েক দিনে সেখান থেকে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ টাকা ৯০ পয়সা। প্রান্তিক প্রকাশের দিনও শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।
৫৬ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৬০.৬৭ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে আছে। ২৭.৯৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ০.৫২ শতাংশ আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে বাকি ১০.৮৭ শতাংশ শেয়ার।