বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেক জালিয়াতির আসামি যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৫১

দুদকের মামলার আসামিরা হলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহীলাল স্টোরের মালিকের ছেলে আশরাফুল আলম।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান, সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার বিকেল ৫টায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন।

আসামিরা হলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহীলাল স্টোরের মালিকের ছেলে আশরাফুল আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হারুণ অর রশিদকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধনী এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তুত কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মানী বাবদ ২৫ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকার বিপরীতে আড়াই হাজার টাকা আয়কর কাটা হয়।

২০২০ সালের ৭ আগস্ট আড়াই হাজার টাকা আয়করের চেক বই প্রস্তুত করা হয়। হিসাব সহকারী আবদুস সালাম চেকের মুড়ি বইয়ে আড়াই হাজার টাকা লিখলেও চেকে প্রাপক হিসেবে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিখে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা ইস্যু করা হয়। চেকে সচিব ও চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেন।

সেই চেক শরিফুল ইসলাম বাবু ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখায় তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। এভাবে শিক্ষা বোর্ডের আয়কর বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার বিপরীতে মোট ৯টি চেকের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। যা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অপরাধ।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অডিট অফিসার আবদুস সালাম জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে আয়কর বাবদ এসব চেক ইস্যু হয়। পরে দেখা যায়, যশোরের ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং সাতটি ও শাহীলাল স্টোর দুটি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করেছে।

তিনি জানান, চেকের মুড়ির সঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। মুড়িতে উল্লেখ করা অঙ্কের সঙ্গে ইস্যু করা চেকের অঙ্কের মিল নেই।

সোনালী ব্যাংক শিক্ষা বোর্ড শাখার ব্যবস্থাপক এস এম শাহিদুর রেজা জানান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ক্লিয়ারিং চেকের মাধ্যমে ওই টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত জানান, সোমবার পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সরকারের টাকা আত্মসাৎ করে কেউ পার পাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর