বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গারা অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:০৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর এরই মধ্যে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে এবং তারা আমাদের জন্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের পরিবেশ ও বনসম্পদ ধ্বংস করছে। তারা বনজসম্পদ নষ্ট করছে।’

জাতিগত সংঘাতের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জন্য একটি বোঝা হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে।’

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান জিরার্ডভ্যান লিউয়েন রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানে রাষ্ট্রদূত লিউয়েনকে এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।

তিনি বৈঠকের বিষয়বস্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর এরই মধ্যে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে এবং তারা আমাদের জন্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের পরিবেশ ও বনসম্পদ ধ্বংস করছে। তারা বনজসম্পদ নষ্ট করছে।’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটকে পড়া পাকিস্তানিদের নিয়েও কথা বলেন। তিনি আটকে পড়া পাকিস্তানিদেরও বোঝা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানান।

বৈঠকে নেদারল্যান্ডের দূত রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বাস্তু ও এনজিওকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজস্ব মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়ায় এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে ডাচ রাষ্ট্রদূত অ্যান জিরার্ডভ্যান লিউয়েন। ছবি: পিআইডি

দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এসে আশ্রয় নিতে শুরু করে। তবে দেশটিতে ২০১৭ সালের আগস্টে সেনারা রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চালায়। সে সময় দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে।

মানবিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিলে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় কক্সবাজারে। এ ছাড়া আগেরসহ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় কাজ করলেও বাংলাদেশ সরকারের একটা বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে তাদের পেছনে। যা দিন দিন অর্থনীতিকে আরও চেপে ধরছে।

সাক্ষাতে ডাচ রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠার কথা।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ব-দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার দেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের অবদান ও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়নে দেশটির সহাযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

নেদারল্যান্ডসে কৃষির সংরক্ষণে গ্রিন হাউস প্রকল্প দেখে অভিভূত হওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশটির মতো বাংলাদেশও একটি কৃষিভিত্তিক দেশ এবং তার সরকার কৃষির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ বিভাগের আরো খবর