কুমিল্লার ঘটনা ও এর পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সাতক্ষীরায় মানববন্ধন হয়েছে।
আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে ‘ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা মন্দির সমিতির সহসভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, বিশিষ্ট চিকিৎসক সুশান্ত ঘোষ, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা মন্দির সমিতির সহসম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাস, মানবাধিকারকর্মী লুইস রানা গাইনসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালীন কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে মন্দির, প্রতিমা, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে তা কোনো স্বাধীন দেশের সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।
ফেসবুকে এসব ঘটনার মিথ্যাচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তারা বলেন, এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এসময় তারা ২০১২ সালে মহানবীকে কটূক্তির মিথ্যা অভিযোগে ফতেপুর ও চাকদাহে ১২টি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্ত এখনও শেষ না করায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, আগের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়ায় হামলাকারীরা আজও বেপরোয়া।