বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বিএনপির ইন্ধনে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৪৯

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। নানা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েও বিএনপি মানুষের কাছে যেতে পারেনি। তাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি ও তাদের দোসররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি বিএনপিকে দায়ী করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ। বলেছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দলটি এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।

সচিবালয়ে রোববার সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। নানা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েও বিএনপি মানুষের কাছে যেতে পারেনি। তাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি ও তাদের দোসররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

‘কারা কুমিল্লায় কোরআন রেখেছিল তা নিশ্চয়ই বের হবে, তখন সব স্পষ্ট হবে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে। যারা এ দেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, তাদের অনেকেই তো বিএনপির জোটে আছে। বিএনপিতে অনেক নেতা এসেছেন, যারা এ দেশ চাননি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা নিশ্চয় বের হবে, কারা ওখানে কোরআন শরীফ রেখে গিয়েছিল। বের হওয়ার পর সব কিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে।’

ঘটনার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট।’

সংকট থেকে চোখ ফেরাতে সরকার এমন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাগল না দেশের মানুষ পাগল বুঝি না। তার কথা শুনলে বোঝা যায় না।’

দুর্গাপূজা চলাকালীন ও বিসর্জন শেষে কুমিল্লাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় হিন্দুদের পূজামণ্ডপ, মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।

গত বুধবার কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর সকাল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য। তবে আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

এ ঘটনায় শহরজুড়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় আটক হয়েছেন ৪২ জন।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে বিভিন্ন মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যতন সাহা নামে একজনের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হামলায় জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিনসহ ১০ পুলিশ ছাড়াও আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।

বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ ইমরান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। চৌমুহনী কলেজ রোডের বিজয়া পূজামণ্ডপে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি হিন্দুদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের মন্দির, ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর