স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগাতে চায়। মন্দিরের ঘটনা তাদেরই কাজ বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রাজধানীতে এক সেমিনারে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।
পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক এক সেমিনার হয়েছে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, স্বাধীনতাবিরোধীরা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগাতে চায়। তারা দেশের সব অর্জন ম্লান করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।
‘মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে কাজ করছে বলেই আজ আমরা উন্নয়নের রোল মডেল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দেশের শত্রুরা ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামাতে একটি মহল ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা শুরু করেছে। মন্দিরে কোরআন শরিফ রেখে তারা নাটক সাজিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। দাঙ্গা লাগিয়ে সরকারকে ব্যর্থ বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
‘পাকিস্তানের মদদপুষ্ট ও প্রেতাত্মারা আবার ক্ষমতায় যেতে দুঃস্বপ্ন দেখছে। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। যে কৌশল পাকিস্তানিরা স্বাধীনতাযুদ্ধে ব্যবহার করেছিল।’
মন্দিরে কোরআন রাখা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি ও হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে উন্মোচন করা হবে।’
সেমিনারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।