বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকুন্দিয়ায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:২৮

পাকুন্দিয়া থানার ওসি সারোয়ার জাহান নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় তিন পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্যসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়েনের দরগা বাজার এলাকায় কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ ও সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে রাত সাড়ে ৮টার দিকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় তিন পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

কমিটি গঠনের পর থেকে নূর মোহাম্মদের সমর্থকদের বিরোধিতার মুখে সোহরাব উদ্দিন উপজেলা সদরে কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ কারণে শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের দরগা বাজার এলাকায় কমিটির সভা আহ্বান করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নূর মোহাম্মদের সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল আকারে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সোহরাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈধ কমিটি নিয়ে আমি আমার বাড়ির সামনে সভা করব, আর তারা সেটাতে বাধা প্রয়োগ করছে। বিভিন্নভাবে এলাকার শান্ত পরিবেশকে তারা নষ্ট করছে।

‘পুলিশের সহযোগিতায় তারা আমার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে। তারা আমার বাড়ির সামনে এসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছে৷ পুলিশ তাদেরকে বাধা না দিয়ে তামাশা দেখেছে।’

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পরে যোগাযোগ করা হয় নূর মোহাম্মদের সমর্থক জেলা শ্রমিকলীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদের সঙ্গে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা রয়েছে, তাকে আমরা আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হিসেবে মেনে নিতে পারি না, মেনে নেব না। অবৈধ কমিটিকে প্রতিহত করার জন্য হাজারো নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নিয়েছে। তাকে প্রতিহত করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর