কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যতন সাহা নামে একজনের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হামলায় জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিনসহ ১০ পুলিশ ছাড়াও আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। ফাঁকা গুলি, টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ ইমরান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। চৌমুহনী কলেজ রোডের বিজয়া পূজা মণ্ডপে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, বিজয়া পূজা মণ্ডপে দুর্বৃত্তদের হামলার সময় যতন সাহা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পূজা উপলক্ষে তিনি চৌমুহনীতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস জানান, পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিনসহ আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে পাঠানো হয়েছে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমএ সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, যতন সাহা নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ ছাড়া আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।