‘এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অবদান আছে। রাষ্ট্রীয় চার নীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়। আজ সেই স্বাধীন দেশে ধর্মের নামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। আমাদের দলের যারা আছেন, আমাদের আরও যত্নশীল ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ছয়ানী বাজারের শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন শেষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এই মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে।
পরিদর্শন শেষে তিনি মন্দির কমিটির নেতাদের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে বলেন, ‘মন্দিরে হামলাকারী কারা? আমরা ক্লিয়ার। এরা হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা এ দেশের ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে তারা; এরা হচ্ছে আমার দেশের ৩০ লাখ মানুষকে যারা হত্যা করেছে তারা। এরা তারা, যারা পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদ দিয়েছে।
‘একাত্তরের পরাজিত শত্রু, পঁচাত্তরের খুনি চক্র ও যারা এ দেশে মৌলবাদের রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের অর্থায়নে ও সহযোগিতায় মন্দিরে হামলার মতো এ ঘটনা ঘটেছে। এরা দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে রাজনীতি করতে চায়।’
মন্দিরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন শাহিন।
এরপর তিনি কবিরহাট উপজেলার দরাপ নগর কালীমন্দির দুর্গাপূজা মণ্ডপ ঘুরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৩০ হাজার টাকা দেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর কয়েক শ লোক ছয়ানী বাজারের শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি রুহুল আমিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ, জেলা পুলিশ সুপার, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কবিরহাট উপজেলার দরাপ নগর কালীমন্দির দুর্গাপূজা মণ্ডপে চালানো হয় হামলা।