এক কর্মীকে মারধরের জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ‘সিএফসি’ গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আহত চারজন হলেন সিক্সটি নাইনের কর্মী ও ইতিহাস বিভাগের ১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী নাদিম হায়দার, অর্থনীতি বিভাগের একই বর্ষের মোমিনুল হক মিশু, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪-১৫ বর্ষের রাফি এবং সিএফসির কর্মী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৮-১৯ বর্ষের মো. আরাফাত। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের চিকিৎসক শুভাশীষ চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, সামান্য আঘাত পাওয়া তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে নাদিমের অবস্থা গুরুতর। তার হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিহাব আরমান মানিক নামে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ নিয়ে রাতেই সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
তারা আরও জানান, মারধরের ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিএফসির কনিষ্ঠ কর্মীরা আমানত হলে ঢুকতে গেলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ গিয়ে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হলেও দুই পক্ষের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘১৯-২০ সেশনের জুনিয়রদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন আহত হয়। আমরা কথা বলছি, কোনো একটা সমাধান আসবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এখন ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’