কুমিল্লার ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির উত্তর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে এ কথা বলেন তিনি।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকারকে কুমিল্লার ঘটনার দায় নিতে হবে যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এটা সরকারেরও ব্যর্থতা, আমাদেরও ব্যর্থতা। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার গঠন করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।
‘এ পর্যন্ত একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত পুলিশ থাকার পরও কীভাবে ঘটনাটি ঘটল? এটি দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। এত বড় ঘটনা ১৯৪৭-এর পর আর ঘটেনি। কক্সবাজার, নাসিরনগর, শাল্লা ও হাজীগঞ্জে আক্রমণ হয়েছে। তবে কুমিল্লার মতো এত বড় ঘটনা কোথাও ঘটেনি।
‘এ ঘটনায় লোক দেখানো ধরপাকড়ের নামে সরকার ঘটনাটি অন্য খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে। কারণ বর্তমান সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই।’
জাফরুল্লাহর সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
সাকি বলেন, ‘রামু থেকে নাসিরনগর সব ঘটনা একই ধরনের। কোনো ঘটনার এখনও বিচার হয়নি। আবার নাসিরনগরে যারা হামলা করেছে, তারাই আজ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার যেসব ফাঁদ পেতেছে, কুমিল্লার ঘটনা তার একটি অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকারের কোনো মুসলমান বা হিন্দু এ কাজ করতে পারে না। এটি সরকারি মদদে ঘটানো পরিকল্পিত ঘটনা। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পর ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এ ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।’