বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশে মাদক ঠেকাতে রোলকল

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:০৫

রোলকলের উদ্দেশ্য হলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে একটি ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং কেউ মাদক গ্রহণ করে এলে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্যদের মাদকাসক্তি ঠেকাতে নিয়মিত রোলকলের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে এই কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি ইস্যু করেছে সদর দপ্তর।

গত ৭ অক্টোবর ডিএমপির প্রফেশনাল স্টান্ডার্ড অ্যান্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।

রোলকলের উদ্দেশ্য হলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে একটি ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, কেউ মাদক গ্রহণ করে এলে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া।

পাশাপাশি মাদকের সঙ্গে কেউ যেন জড়িয়ে না যায় সে জন্য সতর্ক করা এবং মাদক থেকে সদস্যদের দূরে রাখতে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যই এই রোলকল করা হবে।

নির্দেশনা পাওয়ার পর ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটে তা চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিট-প্রধানরা।

ডিএমপি রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, তার ইউনিটে আগে থেকেই রোলকল চালু ছিল। এই চিঠি পাওয়ার পর গতি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘রোলকলের মাধ্যমে যেখানে যে ইউনিট থাকে তার হাজিরা নেয়া হয়। দ্বিতীয়ত, কার কী ডিউটি তা শুনানো হয়। তৃতীয়ত, কারও কোনো সমস্যা আছে কি না দেখা হয়। থানাতে ওসি থেকে শুরু করে এসি, এডিসিরা উপস্থিত থাকেন। কখনও কখনও ডিসিরা যান।

‘এই চিঠির মর্ম হলো, আমাদের সিনিয়র অফিসাররা যেন নিশ্চিত করে যে, ফোর্সের সবাই উপস্থিত আছে। যাদের ডিউটি নেই তারাও যেন থাকে। এবং তাদের যাতে ব্রিফ করা হয় যে, তোমরা মাদকের সঙ্গে যুক্ত হইও না।’

বিভিন্ন ইউনিট তাদের নিজেদের সুবিধামতো সময়ে এই রোলকলটি করে থাকে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঊর্ধ্বতনদের নিয়মিত তদারকির ফলে পুলিশে কেউ মাদক নিলে সেই প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করে ডিএমপি।

তবে চিঠিটি গত ৭ অক্টোবর ইস্যু করা হলেও একাধিক ইউনিট তা এখনও পায়নি বলে জানিয়েছেন ইউনিট-প্রধানরা।

চিঠি না পেলেও রোলকল প্রক্রিয়া আগে থেকে চালু রয়েছে বলে জানান গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের নিয়মিত প্রক্রিয়া। রোলকলের মাধ্যমে আমরা অফিসার ও সদস্যদের কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, কী করা যাবে, কী করা যাবে না- এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়, আলোচনা হয়।

‘মাদক সেবন থেকে বিরত রাখার জন্য নিয়মিত রোলকলটা হলো- এই সময়ে মাদকের কুফল, মাদকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়গুলো সবার সঙ্গে আলোচনা করা, সতর্ক করা।’

এ বিভাগের আরো খবর