মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের হেল্পলাইন নম্বর থেকে কল করে কয়েক দফায় এক এজেন্ট থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৪ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে অপারেটরটির বিরুদ্ধে।
প্রতারণার এই চক্রটিকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে বিকাশের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ অঞ্চলের এক সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভের (এসআর) বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তৌহিদ আলী রাশেদ। মামলার নং ১৪/৪২২।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে তৌহিদ আলী রাশেদ এ বিষয়ে স্থানীয় বিকাশ অফিসে অভিযোগ ও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এরপর দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে মামলা করলেন তিনি।
মামলা অনুযায়ী, গত ২৬ আগস্ট, বিকাশ ব্যবসার জন্য রাশেদ একটি এজেন্ট সিম নেন। গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিকাশের স্থানীয় এসআর টিপুর নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘আপনাকে হেড অফিস থেকে ফোন করবে, তার সঙ্গে কথা বলবেন।’
সঙ্গে সঙ্গে হেল্প লাইন নম্বর থেকে এজেন্ট নম্বরে ফোন আসে। ওই দিক থেকে তখন বলা হয় অ্যাপ আপডেট না করলে এজেন্ট নম্বর বন্ধ হয়ে যাবে। তখন অপর একটি নম্বর থেকে ফোন করে বিভিন্ন নিদের্শনা দেয়া হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আগ্রাবাদের বিকাশ এজেন্ট রাশেদ বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সরাসরি বিকাশের কোনো চক্র জড়িত আছে বলে আমার বিশ্বাস। তা না হলে আমার সিম পাওয়ার তারিখ ও দোকানের নাম প্রতারকদের জানার কথা নয়। তা ছাড়া, স্থানীয় বিকাশ এসআর এর নম্বর থেকেও আমাকে ফোন করে প্রতারকদের নির্দেশনা অনুসরন করতে বলা হয়েছে। আমার একটাই দাবি দোষীদের আইনের আওতায় এনে মুখ উন্মোচন করা হোক।”
মামলায় বাদী যে অভিযোগ করেছেন
রাশেদ তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, বিকাশ হেল্পলাইন নম্বর ও স্থানীয় সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর) টিপুর মুঠোফোনের কথায় আস্থা রেখে নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে চারটি ফোন নম্বরে বিভিন্ন দফায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৪ টাকা পাঠান তিনি। টাকা বুঝে পাওয়ার পর প্রতারক কল কেটে দেয়। পরে প্রতারকের মুঠোফোন ও টাকা পাঠানো নম্বরগুলোতে একাধিকবার কল করলেও নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, আগ্রাবাদে বিকাশের এক এজেন্টের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় ডাবলমুরিং থানায় মামলা হয়েছে। প্রতারণার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
বিকাশ হেড অফিস হেল্পনম্বর থেকে ফোনে প্রতারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলার তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশ কর্তৃপক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়চি তদন্তাধীন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেভাবে আমাদের কাছে তথ্য চেয়েছে আমরা সেভাবে সব করছি। তদন্তের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’