সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১৫ জনের দলের সবার মুখে মাস্ক ও শরীরে অন্তর্বাস ছাড়া আর কিছু ছিল না বলে জানায় ওই বাড়ির সদস্যরা।
কুঁরগাও এলাকার ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির মো. শাহজাহানের দুইতলা বাড়িতে বুধবার ভোর ৪টার দিকে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।
শাহজাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার দুই ছেলে তাদের স্ত্রী নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে। আমি আর আমার স্ত্রী এ বাড়িতে থাকি। কয়েক দিন আগে আমার নাতনি ও তার জামাই ছেলেকে নিয়ে এখানে বেড়াতে আসে।
‘আজ ভোরে হঠাৎ রুমের ভেতর অনেকজন ঢুকে আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। সবাইকে একটি রুমের মধ্যে নিয়ে আটকে হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে। তবে কাউকে মারধর করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরের সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ লুট করে ঘণ্টাখানেক পর মূল দরজা খুলে চলে যায়। সকালে জানালার গ্রিল কাটা অবস্থায় দেখতে পাই।’
শাহজাহানের নাতনি ফারিহা প্রান্তা বলেন, ‘ডাকাতরা বারবার আমার বড় মামা সোহেলকে খুঁজছিল। উপরতলায় তার রুমে গিয়েও খোঁজ করেছে।
‘সবার মুখ মাস্ক, পিঠে ব্যাগ ও পুরো শরীরে অন্তর্বাস ছাড়া কিছুই ছিল না। ডাকাতরা সবাই যুবক বয়সের ছিল।’
কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘পুরো সোসাইটিতে প্রায় ১০০ পরিবার বসবাস করে। আগে নিরাপত্তার জন্য আনছার সদস্যরা থাকলেও এখন ফান্ডের অভাবে তারাও নেই।’
‘আমি কয়েক মাস আগে দায়িত্ব পেয়েছি। সোসাইটিতে ঢোকার তিনটি বড় রাস্তায় কেবল তিনজন পাহারাদার। সিসিটিভিও নেই। যে বাড়িতে ঘটনা ঘটছে তার পেছন দিয়ে আরেকটি এলাকায় যাওয়া যায়। ওখানে প্রাচীর নির্মাণ করা দরকার।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে পারি দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় ১৫ জনের মতো ছিল। তারা গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে লুটতরাজ করে সদর দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়।
‘আশেপাশের থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’