বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৌরসভায় সিইও, সম্মান বাড়বে মেয়রের: তাজুল

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৩১

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন যে পৌরসভায় সিইও নিয়োগ দেয়ায় মেয়রদের সম্মানহানী করা হয়েছে। কিন্তু সিইও নিয়োগের মাধ্যমে সম্মানহানী নয়, মেয়রদের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’

পৌরসভাগুলোতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও নিয়োগ করার মাধ্যমে মেয়রদের সম্মানহানীর যে কথা বলা হচ্ছে তা না হয়ে বরং তাদের মর্যাদা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

পটুয়াখালীতে মঙ্গলবার শেখ রাসেল শিশু পার্ক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন যে পৌরসভায় সিইও নিয়োগ দেয়ায় মেয়রদের সম্মানহানী করা হয়েছে। কিন্তু সিইও নিয়োগের মাধ্যমে সম্মানহানী নয়, মেয়রদের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। মেয়রদের সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেই সিইও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাউকে ছোট করার জন্য এটা করা হয়নি।

‘যে সকল পৌরসভায় এরইমধ্যে সিইও নিয়োগ হয়েছে সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগের তুলনায় পৌরসভার আয় অনেক বেড়েছে।’

এ সময় পৌর আইন সংশোধনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য হলো অনেক জায়গায় নানা জটিলতার কারণে ১৫-২৫ বছর পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

‘ইউনিয়ন পরিষদেও এরকম কিছু জটিলতা রয়েছে এজন্য আইনে পরিবর্তন আনা দরকার। এ নিয়েও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলেই পৌরসভার মেয়রের পদ ছাড়ার বাধ্যবাধকতা রেখে গত ৪ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এটি আইনে পরিণত হলে মেয়াদ পূর্ণ হলে একজন প্রশাসক বা সরকার মনোনীত কোনো ব্যক্তির অধীনে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে নতুন মেয়রের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার বিধান চালু হবে।

এ ধরনের আইনের একটি ধারা সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য রয়েছে। সেটা পৌরসভায় আনা হচ্ছে। পৌরসভার সচিবের নাম হবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে বেশ আলোচনা সমালোচনাও রয়েছে। পৌর মেয়রদের একটি বড় অংশই মনে করেন এ আইন পাশ হলে তাদের মর্যাদা ও ক্ষমতা দুটিই কমে যাবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে এক্সটার্নাল অডিট ফার্ম নিয়োগের মাধ্যমে অডিট করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠানকে শুধু জবাবদিহি ও স্বচ্ছ করলে হবে না, দুর্বলতা ও সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর