পূজার ছুটি শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য স্থাপন করা হতে পারে করোনার অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র।
এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক আইনুল ইসলাম। তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকতার জন্য কাগজপত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিকা গ্রহণ বিষয়ে তথ্যও পেয়েছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক। তিনি বলেন, ‘টিকাকেন্দ্র টিকাকেন্দ্র বললেই তো হবে না, শিক্ষার্থীদেরও তথ্য দিয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে।
‘আজও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ছাত্ররা কেন টিকার তথ্য দিচ্ছে না? অনুরোধ করব, দ্রুত শিক্ষার্থীরা যাতে তথ্য দিয়ে দেয়।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখন সশরীরে ক্লাস শুরুর অপেক্ষা। তবে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার আশা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণের পর বন্ধ করে দেয়া শিক্ষাঙ্গণ চালু হতে শুরু করে। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় স্কুল ও কলেজ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে টিকার বিষয়টি সামনে আসে।
প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল, সব শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেয়ার পর খোলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য আলাদা অ্যাপও করা হয়। তবে পরে সিদ্ধান্ত খানিকটা পাল্টানো হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়েই স্থাপন করা হবে টিকা কেন্দ্র। সেখানে শিক্ষার্থীদেরকে টিকা দেয়া হবে। স্পট নিবন্ধনের ব্যবস্থাও থাকবে।
জনগ্নাথের সব শিক্ষার্থীও করোনার টিকার আওতায় আসেননি। এখনও যারা টিকা দেয়নি, তাদের জন্য ক্যাম্পাসে টিকাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।