সরকার আগামী দুই বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে চায়। সেজন্য একটি খসড়া রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সোমবার কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে সোমবার শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশের শাকসবজি, আলু ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। বিভিন্ন ফসল ও খাদ্যে আমরা এখন উদ্বৃত্ত। এ উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রপ্তানি করতে চাই।
‘রপ্তানির বাধা দূর করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। গত ১ বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি অনেকগুণ বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে। আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপন্য রপ্তানি করতে চাই।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারলে একদিকে কৃষকেরা লাভবান হবে, অন্যদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য গত জুনে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি শাকসবজি, ফলমূল রপ্তানি ও আলু রপ্তানির জন্য পৃথক দুটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।
অনুষ্ঠানে খসড়া রোডম্যাপ দুটি উপস্থাপন করেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) গবেষণা সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. রেজাউল করিম।
রোডম্যাপে বলা হয়েছে, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করা গেলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার আয় হতে পারে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হতে পারে ২ বিলিয়ন ডলার।
২০২২ সালে ৮০ হাজার টন, ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টন, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার টন আলু রপ্তানি করা সম্ভব।