চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ৩০ বস্তা সরকারি সার বিক্রির সময় জব্দ হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সার ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিনকে ডেকে মুচলেকা নেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। জব্দ করা সার পাঠানো হয় গুদামে।
উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে সোমবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে বেড়বাড়ি গ্রামের আক্তারুল ইসলামের গুদাম থেকে তিনটি ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিসিআইসির ৩০ বস্তা সার জব্দ করেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মতিয়ার রহমান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসী।
সার আটকে খবর দেয়া হয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও পুলিশকে। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এরপর ভুল স্বীকার করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে মুচলেকা দেন সার ব্যবসায়ী আলিম।
তবে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরকার ডিলারদের প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা এবং এমওপি ১৫ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে।
নতিপোতা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানকার বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স শাহিন আক্তার। কিন্তু মেসার্স হাসান টেডার্সের মালিক আলিম উদ্দিন এসব সার বাইরে বিক্রি করেন। দামও নেন বেশি। আর প্রতিবাদ করলে সার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সার ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোনটি কেটে দেন।
নতিপোতা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, ৩০ বস্তা সার নিয়ে আলিম উদ্দিন গোডাউনের বাইরে যাচ্ছিলেন। আমি ভেবেছিলাম সারগুলো ইউনিয়নের বাইরে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পারি। সার গোপনে বিক্রির বিষয়টি না জানার পর তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয়রা সারের গাড়ি আটক করার পর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওখানে হাজির হন। ভবিষ্যতে ওই ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সার ডিলারকে সর্তক করে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।