বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির সূর্য সেনে গণরুমের মেঝেতে ছাত্ররা

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৪৫

ঢাবির প্রতিটি হলে প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার সনদ দেখে শিক্ষার্থীদের ঢোকানো হলেও এসবের কিছুই পরীক্ষা করা হয়নি সূর্য সেন হলে। অন্য হলগুলোতে হাউস টিউটররা শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট দিয়ে বরণ করলেও সকাল ১০টায় সূর্য সেন হলের গেটে প্রাধ্যক্ষ ও হাউস টিউটরদের দেখা যায়নি। কর্মচারীরাই শিক্ষার্থীদের মাস্ক আর ফুল দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গণরুম থাকবে না এবং কোনো শিক্ষার্থীকে মেঝেতে না রাখার সিদ্ধান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের গণরুমগুলোতে মেঝেতেই থাকছেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যান্য হলের গণরুমগুলোতে খাট বসিয়ে শিক্ষার্থীদের সেখানে রাখা হলেও এই হলের গণরুমগুলোতে কোনো খাট বসানো হয়নি। তাই মেঝেতেই থাকছেন এসব রুমে আসা শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল ১০টায় হলটির গণরুমগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোতে ওঠা শুরু হয়েছে।

প্রতিটি হলে প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার সনদ দেখে শিক্ষার্থীদের ঢোকানো হলেও এসবের কিছুই পরীক্ষা করা হয়নি সূর্য সেন হলে। এ ছাড়া অন্য হলগুলোতে হাউস টিউটররা শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট দিয়ে বরণ করলেও সকাল ১০টায় সূর্য সেন হল গেটে প্রাধ্যক্ষ ও হাউস টিউটরদের দেখা যায়নি। কর্মচারীরাই শিক্ষার্থীদের মাস্ক আর ফুল দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হলে এসেছি। আশা ছিল, হলের শিক্ষকরা আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন কিন্তু শিক্ষকদের চোখেই দেখলাম না।’

সূর্য সেন হলে ১৫-১৬টি গণরুম রয়েছে। প্রায় প্রতিটি গণরুমে ঘুরে দেখা গেছে, এসব রুমে খাট বসানো হয়নি। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের আসা শিক্ষার্থীরা এসব পরিষ্কার করছেন। কিছু কিছু রুমে পরিষ্কার করা শেষে মেঝেতে বিছানা পেতে সেখানেই শুয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে কোনো গণরুম থাকবে না, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম। গাদাগাদি করে মেঝেতে থাকতে হবে না ভেবেই তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু আজ হলে এসে দেখি ভিন্ন চিত্র। আমাদের অন্যান্য হলে থাকা গণরুমের বন্ধুরা খাটে থাকতে পারলেও আমাদের হলের গণরুমগুলোতে কোনো খাটই বসানো হয়নি।’

প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের হলের কোনো ব্যবস্থাপনাই ভালো না। প্রতিটি হলেই হল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কত সুন্দর করে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। আর আমাদের হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্কই পাইনি। অভ্যর্থনা জানাতে শিক্ষকদের থেকে ছিল না কেউই।’

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা না। তবে আমি শুনেছি তাদের গণরুমগুলোর জন্য খাট বানানো হচ্ছে। এরপর সেসব খাট বসানো হবে।’

এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সেটির উত্তর দেননি অধ্যাপক মকবুল।

এ বিভাগের আরো খবর