বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুজিবরের বড় মন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫৫

মুজিবর বলেন, ‘বাবা মোকসের জোমার্দ্দারের নির্দেশে মানুষের সেবা করি। মন ভালো থাকে। অনেকের টাকা পয়সা থাকলেও অসহায় ও রোগীদের পাশে দাঁড়ায় না। আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিয়েছে। তাই যতটুকু পারি মানুষের জন্য করার চেষ্টা করি।

অসহায় ও রোগীদের জন্য খুলনায় ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন ডাব বিক্রেতা মুজিবর জোমার্দ্দার। অসহায়, দুস্থ, রোজাদার ও রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ে ডাব বিক্রি করেন তিনি। অনেক সময় লোকসান করেও মুজিবর মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেন।

খুলনা নগরীর নিউমার্কেট এলাকার ১ নম্বর গেটে রোববার দুপুরে কথা হয় মুজিবরের সঙ্গে। তিনি জানান, ২১ বছর ধরে অসহায়, দুস্থ, রোজাদার ও রোগীদের কম টাকায় এবং অর্ধেক মূল্যে ডাব বিক্রি করছেন।

বর্তমানে প্রতিটি ডাবে রোগী ও রোজাদার জন্য ৫ টাকা করে এবং দুস্থদের জন্য ২০ টাকা ছাড়ে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া পুরো রমজান মাসেই প্রতিটি ডাবে ৫ টাকা করে ছাড় দেন তিনি।

মুজিবর বলেন, ‘বাবা মোকসের জোমার্দ্দারের নির্দেশে মানুষের সেবা করি। মন ভালো থাকে। অনেকের টাকা পয়সা থাকলেও অসহায় ও রোগীদের পাশে দাঁড়ায় না। আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিয়েছে। তাই যতটুকু পারি মানুষের জন্য করার চেষ্টা করি।’

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের শহীদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন মুজিবর। প্রতিদিন ভৈরব নদী পার হয়ে খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় ডাব বিক্রি করতে আসেন। গত ৭ বছর ধরেই তার দিন চলছে এভাবে।

মুজিবর ১৯৭৩ সালে ডাবের ব্যবসা শুরু করেন। বরগুনা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে মাত্র ৫০ পয়সায় তিনি ডাব বিক্রি করতেন। বর্তমানে ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডাব বিক্রি করেন তিনি।

যশোরের কেশবপুর ও খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা থেকে তিনি সারা বছর ডাব সংগ্রহ করেন। তার গাছিয়াল (গাছ থেকে ডাব পাড়ার শ্রমিক) রয়েছে। তিনি ভ্যানে করে তা বিক্রি করেন। ফোন দিলে রোগীর বাড়িতেও ডাব পৌঁছে দেন তিনি।

মুজিবর যুদ্ধের পর বরিশাল থেকে খুলনায় চলে আসেন। ৯০ দশকে খুলনা পিপলস মিলে চাকরি করতেন। পাশাপাশি ডাব ও মুদি পণ্য বিক্রি করতেন। মুদি দোকানে লোকসান ও পরে মিলের চাকরি না থাকায় পরে ডাব বিক্রিতে মন দেন।

এ বিভাগের আরো খবর